এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দাপুটে তৃণমূল নেতার জনসংযোগের সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার! অস্বস্তিতে শাসকদল

দাপুটে তৃণমূল নেতার জনসংযোগের সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার! অস্বস্তিতে শাসকদল

লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ মেটানোর জন্য দিকে দিকে মানুষের কাছে যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে দলের নির্দেশ অনুসারে নিজের 85 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গে অনেকদিন আগে থেকেই এই কাজ করা শুরু করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস কুমার। কিন্তু এদিন এই কর্মসূচিতে গিয়ে এক বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলতে বলতে সেই বৃদ্ধার মৃত্যু চোখের সামনে দেখে দৃশ্যটি ভুলতে পারছেন না দেবাশিসবাবু।

জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হাজরা রোডের এক বস্তিতে মুখোমুখি নাগরিক কর্মসূচিতে হাজির হন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস কুমার। আর সেখানেই তিনি এক বৃদ্ধার সঙ্গে কথা বলেন। বৃদ্ধা তাকে তার ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে একগুচ্ছ অভিযোগ জানালে দেবাশিসবাবু বলেন, “আমাকে সব সময় পাশে পাবেন। কেউ আপনাকে ও আপনার ছোট মেয়েকে ঘরছাড়া করতে পারবে না।” এদিকে দেবাশিস কুমার এই কথা বলার সময় আশ্চর্যজনকভাবে সেই বৃদ্ধা উল্টোদিকে খাটের উপরে লুটিয়ে পড়েন।

আর সাথে সাথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 80 বছর। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। আর নিজের জনসংযোগের সময় এইভাবে একজন বৃদ্ধা তাকে অভিযোগ জানাতে গিয়ে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় বেদনাহত হয়ে গিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস কুমার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “আমি ঘটনার পর থেকে কিছুতেই দৃশ্যটা বলতে পারছি না। ওই বৃদ্ধা আমার সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলছিলেন। আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। আর তার পরেই মারা গেলেন। কয়েক মিনিটে কিভাবে যে ঘটনাটি ঘটল, আমি এখনও বুঝতে পারছি না।” এদিন এই প্রসঙ্গে মৃত বৃদ্ধার মেয়ে সরিতাদেবী বলেন, “আমার হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। যে কারণে স্পেশমেকার বসানো হয়েছে। মা সবসময় দুশ্চিন্তা করতেন। উনি যদি মরে যান, তাহলে আমার কি হবে, কে দেখবে!”

তিনি আরও বলেন, “তাই মা বলেছিল দেবাদার সঙ্গে যদি কখনও দেখা হয়, তাহলে আমি যাতে ভাল থাকি তা যেন দেবাদাকে বলি। মা দেবাদাকে খুব ভালোবাসত। সোমবার রাতে উনি যে আমাদের বাড়িতে আসবেন, তা আগেই মাকে বলে গিয়েছিল। দেবাশিসবাবু কথা বলতে চেয়ে ঘরে ঢুকে আসেন। তারপর কথা বলতে বলতেই সবশেষ। দেবাশিসদা যখন মাকে আশ্বস্ত করলেন, তখন মা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। হয়ত তাতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে মারা যান।”

তবে বৃদ্ধার জীবনের শেষ লগ্নে তাকে আশ্বস্ত করলেও, তিনি যেভাবে দেবাশিসবাবুর কথা শুনে পরলোক গমন করলেন, সেই ঘটনা ভুলতে পারছেন না তৃণমূলের দেবাশিস কুমার। জনসংযোগে গিয়ে কোনো জনপ্রতিনিধি কথা বলার সময় কারোর মৃত্যু হচ্ছে – এমন ঘটনার নজির বিশেষ নেই। ফলে, সামগ্রিক ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে শাসকদল। এইভাবে চোখের সামনে আচমকা মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!