এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া পুরোনো কর্মীদের লোকসভার আগে দলে ফেরাতে মরিয়া শাসকদল

অভিমানে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া পুরোনো কর্মীদের লোকসভার আগে দলে ফেরাতে মরিয়া শাসকদল

অভিমানী দলছুট কর্মীদের দলে ফিরতে উদ্যোগী হলতাহলে আশীর্বাদ কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।
দলের পুরনো কর্মী, যাঁরা অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তাঁদের দলে ফেরানোর এই উদ্যোগ লোকসভা ভোটের আগে অনেকটাই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জনুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি আয়োজন নিয়ে রবিবার জেলা তৃণমূল মেদিনীপুর শহরে দলের বর্ধিত সভার বৈঠক ডাকে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি স্পষ্টভাবে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সমস্ত পুরনো কর্মীদের দলে গুরুত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের তালিকা প্রস্তুত করতে। ব্লক সভাপতিরা তালিকা তৈরি করবেন। নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্দেশ পাওয়ার পরেই পিংলা, ডেবরা, দাঁতন, কেশিয়াড়ি, চন্দ্রকোণার মতো একাধিক ব্লক নেতৃত্ব সাদা কাগজে বেশ কয়েকজন নেতার নাম লিখে বৈঠক শেষেই জেলা সভাপতির হাতে গুঁজে দিয়েছেন। অজিতবাবু তাঁদের নির্দেশ দেন, পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে নাম জমা দিতে। বৈঠকে তিনি বলেন, “প্রথমে দলের বিধায়ক, ব্লক সভাপতিরা এই সব নেতার কাছে যাবেন। তাঁদের যথাযথ সম্মান দিয়ে দলে স্বক্রিয়ভাবে ফিরে আসার ব্যাপারে অনুরোধ করতে হবে। কোথাও কেউ যদি মনোমালিন্য না মেটাতে পারেন, প্রয়োজনে আমি যাব।”

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “শাসকদলের এরকম বহু পুরনো কর্মীকে দলে টানা শুরু করেছে বিজেপি। সমস্ত জায়গায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। বিপদ আঁচ করে আগেভাগেই তাই ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল। তবে এক্ষেত্রে দলের ব্লক নেতা বা বিধায়করা কতটা আন্তরিক হবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।” দলীয় সূত্রে খবর, কেশপুর, গড়বেতা, খড়্গপুর গ্রামীণ, সবংয়ের মতো বহু এলাকায় পুরনো দিনের তৃণমূলের একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী রয়েছেন যারা কানে দলের সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে যোগ্য সম্মান না পাওয়া, সেই সঙ্গে নানা কারণে দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। অজিতবাবু স্বীকার করেন, “এরকম কিছু কর্মী দলের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আদতে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বও আমাদের এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে। এখানে কোনও ইগোর লড়াই আমরা মেনে নেব না।”

পাশাপাশি এদিন নাম না করে দলীয় নেতাদের একাংশকে চরম ভর্ৎসনা করেন অজিতবাবু। দলের নির্দেশ না মেনে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করায় গড়বেতা-৩, ডেবরার ব্লক নেতাদের এদিন জেলা সভাপতির কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। বৈঠকেই অজিতবাবু বলেন,” নিজের মতো করে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করে দিলাম। দলের লোকজনকে বলারও প্রয়োজন মনে করলাম না, এটা কখনওই চলবে না। যারা এই কাজ করেছে, তাদের শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।

“সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন,” যেসব কর্মাধ্যক্ষ এভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রয়োজনে ইস্তফা দিয়ে পুনরায় অন্য কর্মাধ্যক্ষ ঠিক করা হতে পারে।” উল্লেখ্য,এদিন বৈঠকের শুরু থেকেই দলের বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অজিতবাবু। বারবার শুদ্ধিকরণের বার্তাও দেন তিনি। তৃণমূলের এই নড়বড়ে পরিস্থিতিতেও এদিন চন্দ্রকোণা-১ পঞ্চায়েতের বিজেপি থেকে নির্বাচিত এক সদস্য সহ একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগদান করেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

 

সামনেই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হলেও এদিন সেভাবে আলোচনা হয়নি। সে প্রসঙ্গে দলের এক বর্ষীয়ান নেতা বলেন,” এ ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বই নিচ্ছে।” অন্যদিকে, এদিন সন্ধ্যায় পুরোনো পদ না পাওয়ার আশঙ্কায় এক বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষের অনুগামীরা কার্যত ঘিরে ধরে ক্ষোভ জানান অজিতবাবুকে। অজিতবাবু অবশ্য বলেন, “কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ হয়নি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!