এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অমানবিকতার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, দুর্ঘটনা গ্রস্থ কোভিড হাসপাতালের সুপারের স্ত্রীকে অসহযোগিতার অভিযোগ

অমানবিকতার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে, দুর্ঘটনা গ্রস্থ কোভিড হাসপাতালের সুপারের স্ত্রীকে অসহযোগিতার অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদহ জেলার রতুয়া থানার এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে উঠে এলো অমানবিকতার অভিযোগ। গত ২৯ আগস্ট রতুয়া থানায় স্বামীর পথ দুর্ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় কোভিড হাসপালের সুপারের স্ত্রী। তাঁকে অকারণ হয়রানি ও অসহযোগিতা করেছে পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে। সংবাদসূত্রে জানা গেছে গত ২৮ শে আগস্ট রতুয়া ২ ব্লকের বিএমওএইচ দেব কুমার মন্ডলকে নারায়নপুর কোভিড হাসপাতালে সুপারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

সেইমতো ২৮ সে আগস্ট বিকেলে ওই হাসপাতালে সুপারের দায়িত্ব পদে যোগদান করে, সেদিন রাতে বাইক নিয়ে তিনি বাড়ির পথে ফিরছিলেন জাতীয় সড়ক ধরে। এই সময় নারায়নপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে দুটি ট্রাকের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল। তার মধ্যে একটি ট্রাক হঠাৎ করেই ধাক্কা মারে দেবকুমার বাবুকে। অকস্মাৎ ধাক্কায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান তিনি। তাঁর বাইকটি একেবারেই দুমড়ে-মুচড়ে গেছে কিন্তু তিনি কোনক্রমে প্রাণে বেঁচে গেছেন।

পরদিন অর্থাৎ ২৯ সে আগস্ট তার স্ত্রী পৌলমী দে মণ্ডল রতুয়া থানার পুলিশের কাছে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বাড়িতে তার আহত স্বামী একা পড়ে আছে জেনেও থানার জনৈক পুলিশ অফিসার তাকে কোনো রকম সহযোগিতা করেনি। দীর্ঘ সময় ধরে অকারণে তাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। বহু প্রচেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত তিনি অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” ওই অফিসার দু’ঘণ্টা ধরে আমাকে নানাভাবে বিব্রত ও হয়রানি করতে থাকেন। সেসময় থানা থেকেই পরিচিত এক আইসি ও স্বাস্থ্যকর্তাদের বিষয়টি জানাই। তারপর অভিযোগ নেওয়া হয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল সুপারের স্ত্রী ক্ষুব্দ হয়ে থানার এই হেনস্থার বিষয়টি সম্পর্কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে, জেলা প্রশাসন এর কাছে, মানবাধিকার কমিশন এর কাছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এর কাছে। সেইসঙ্গে তিনি মালদহ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়ার কাছেও এর বিরুদ্ধ্যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তবে এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার তার সমস্ত দোষ অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তার মতামত, ” আমি সেখানে ছিলাম না। কে কি করেছে জানি না।”  অন্যদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেছেন, ” যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে তা দুঃখজনক। কি হয়েছে সেটা পুলিস খতিয়ে দেখবে। ” অন্যদিকে এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মালদহ পুলিশ সুপার অলক রাজুরিয়া জানিয়েছেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যি হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!