এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল নেতাদের ‘হেভিওয়েট’ বানানো একগুচ্ছ ‘মাস্টারমাইন্ডই’ কি এবারে বিজেপির ‘তুরুপের তাস’ হতে চলেছেন?

তৃণমূল নেতাদের ‘হেভিওয়েট’ বানানো একগুচ্ছ ‘মাস্টারমাইন্ডই’ কি এবারে বিজেপির ‘তুরুপের তাস’ হতে চলেছেন?

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – ১৯৯৮ সালের ১ লা জানুয়ারী কংগ্রেস ভেঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস তৈরী করলেও, সেই দলের নির্বাচনী সাফল্য ২০০৬ সাল পর্যন্ত আহামরি কিছু ছিল না। মাঝে মাঝে ছুটকো-ছাটকা সাফল্য এলেও, যে মূল উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি দল গঠন করেছিলেন – সেই সিপিএমকে রাজ্য থেকে ছুঁড়ে ফেলার মত কোনো প্রমান কোনো নির্বাচনে দিতে পারে নি তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবথেকে সঙ্গিন হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের – গোটা রাজ্যে মাত্র ১ টি আসন কলকাতা দক্ষিণ থেকে জেতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। আর, তারপরে ২০০৬ সালে পালে হাওয়া থাকলেও বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর – কার্যত গড়ের মাঠ হয়ে যায়, তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব।

আর এরপরেই রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক দিকটা সামলাবার দায়িত্ব পান মুকুল রায়। পরবর্তীকালে সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মুখ আর পিছনে মুকুল রায়ের কৌশলী রাজনৈতিক পদক্ষেপ যে ‘সুপারহিট’ হয়েছিল তার প্রমান তো ২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকেই জ্বলজ্বল করছে। বর্তমান রাজ্য-রাজনীতিতে শাসকদলের যেসব নেতার নাম একদম খুব উপরের সারিতে রয়েছে – ২০০৯ বা ২০১১ সালের আগে তাঁদের কিন্তু অনেকেই রাজ্য-রাজনীতিতে সেভাবে পরিচিত ছিলেন না। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এইসব নেতাদের ‘হেভিওয়েট’ বানানোর পিছনে আসলে ছিলেন কিছু অত্যন্ত দক্ষ ‘ভোট ম্যানেজার’, যাঁরা নিঃশব্দে পর্দার আড়ালে থেকে ওই সকল নেতাদের ভোট বৈতরণী পার করিয়ে আজকের ‘হেভিওয়েটের’ সিংহাসনে বসিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, ওই সব ভোট ম্যানেজারদের দুঃখ, দল কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়ার পরে বা দলের সংগঠন বৃদ্ধি পাওয়ার পরে কার্যত তাঁদের ব্রাত্য করে দেওয়া হয়েছে। কোনো সুযোগ-সুবিধা তো দূরের কথা, তাঁদের প্রাপ্য সম্মানটাও দেওয়া হয় নি – তাঁদের খোঁজ পরে নাকি শুধু নির্বাচনের সময়। ক্ষোভে-অপমানে কার্যত এইসব ‘ভোট ম্যানেজাররা’ বসে গিয়েছিলেন, নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন রাজনীতির আঙিনা থেকেই। কিন্তু, মুকুল রায় দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বিজেপিতে যোগদানের পরেই মুকুলবাবু যখন কঠিন রাজনৈতিক এক লড়াই লড়ছেন বা তার আগেই যখন তিনি শাসকদলেই কার্যত কোনঠাসা – তখন নিঃস্বার্থভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন এইসব পর্দার আড়ালে থাকা ‘ভোট ম্যানেজাররা’।

সূত্রের খবর, রাজ্য-রাজনীতিতে সেইভাবে পরিচিতি না পাওয়া এই পর্দার আড়ালে থাকা নেতারাই এবার বিজেপির ‘তুরুপের তাস’ হতে চলেছে। কেননা, এঁরা প্রত্যেকেই একাধিক লোকসভা নির্বাচনে, বিশেষ করে ২০০৯ ও ২০১৪-এর লোকসভা নির্বাচনে একাধিক তৃণমূল সাংসদের প্রচার, নির্বাচন ও গণনার অন্যতম স্থপতি ছিলেন। সুতরাং, একদিকে যেমন এঁরা লোকসভা নির্বাচন কিভাবে লড়তে হয় তার খুঁটিনাটি জানেন, অন্যদিকে তেমনই শাসকদল কিভাবে ভোট করতে পারে বা শাসকদলের হয়ে কারা কিভাবে ভোটের সময় কাজ করবেন সবটাই জানেন। ফলে, এঁদের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই বা অনেক বিক্ষুব্ধের সঙ্গে এঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে শাসকদলের ‘ভোট মেশিনারির’ অ্যান্টিডোট দিতে পারে গেরুয়া শিবির। ফলে, পর্দার আড়ালে থেকে শাসকদলকে তুমুল সাফল্য এনে দেওয়া এই নেতারাই এবারের নির্বাচনে শাসকদলের সবথেকে বড় মাথাব্যথা হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!