এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২০১৯ এই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন? আসতে চলেছে যুগান্তকারী নিয়মের পরিবর্তন?

২০১৯ এই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন? আসতে চলেছে যুগান্তকারী নিয়মের পরিবর্তন?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্র সরকারের আপাতত প্রধান লক্ষ্য ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতির প্রবর্তন করা। অর্থাৎ দেশের লোকসভা নির্বাচনের সাথেই রাজ্যগুলির বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন করা। প্রধানত দুটি কারণে এই নিয়ম প্রবর্তন করতে চাইছে বর্তমান কেন্দ্র সরকার –

১. লোকসভা নির্বাচন ও বিভিন্ন রাজ্য গুলির বিধানসভা নির্বাচন আলাদা আলাদা সময়ে হলে নির্বাচনী বিধির গেরোয় থমকে যায় উন্নয়ন
২. দুটি আলাদা আলাদা নির্বাচনের জন্য খরচ হয় দ্বিগুন যা এসে পরে আমজনাতার ঘাড়ে, ফলে সেই টাকা থেকে দেশের উন্নয়ন করা যায় না

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কিন্তু এই নিয়ম প্রবর্তন করতে গেলে সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে অনেক রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদ শেষের আগেই ভেঙে দিতে হবে আবার অনেক রাজ্যের বিধানসভা মেয়াদের অতিরিক্ত সময় বজায় রাখতে হবে। আর তাই এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে দুটি পর্যায়ে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি প্রয়োগ করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার।

১. যেসব রাজ্যগুলির মেয়াদ ২০২১ সালে বা তার আগে শেষ হয়ে যাচ্ছে (যেমন – পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র) সেই রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ কমিয়ে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে করে নিতে
২. যেসব রাজ্যগুলির বিধানসভার মেয়াদ ২০২১ সালের পরে শেষ হচ্ছে (যেমন – উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কর্নাটক, দিল্লি, পঞ্জাব) সেই রাজ্যগুলিতে বিধানসভার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে করে নিতে

কিন্তু এই নীতি প্রবর্তন করতে গেলে মূলত দুটি সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই নিয়েও সবদিক খতিয়ে দেখছে কেন্দ্র সরকার।

১. বিধানসভা বা লোকসভা ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলে – এই নিয়ে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি কেন্দ্র সরকার। তবে এই নিয়ে ল কমিশনকে এই মাসের শেষের দিকে তাঁদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে।
২. কোনো সরকার অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গেলে – অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে। অনাস্থা প্রস্তাবের পাশাপাশি ‘আস্থা’ প্রস্তাব চালু হতে চলেছে। অর্থাৎ বিরোধীরা যখন অনাস্থা আনতে চলেছেন তার আগে বিকল্প সরকারের জন্য নিজেদের ‘আস্থা’ পাশ করাতে হবে। তা না করতে পারলে কিছুতেই অনাস্থা আনা যাবে না।

ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কেন্দ্র সরকার অনেকদূর এগিয়ে গেছে। তবে তাদের সামনেও বাধা বলতে মূলত দুটি।

১. নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি প্রয়োগ করতে গেলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া দীর্ঘতর হবে। সেই সময়সাপেক্ষ ব্যবস্থা কিভাবে সামলানো হবে তা নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি প্রয়োগ করতে হবে।
২. বিরোধীদের রাজি করানো – অনেক রাজ্যেই বিরোধীরা এই বিধানসভার সময় বাড়ানো বা কমানো কিছুতেই মেনে নেবেন না। ফলে প্রথমেই যেসব রাজ্য বিজেপি শাসিত সেইসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মতি আদায় করে নেওয়া হবে। আর যেখানে বিজেপি বিরোধী আসনে, সেখানে বিজেপি নেতাদের দায়িত্ত্ব দেওয়া হবে বিরোধীদের বোঝানোর জন্য। যদি সম্মতি পাওয়া যায় ভালো, না পাওয়া গেলে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় বসতে পারেন। আর তাতেও ফল না মিললে শেষপর্যন্ত লোকসভা ও রাজ্যসভায় ভোটাভুটিতে তা পাশ করানোর চেষ্টা হবে।

ফলে সব মিলিয়ে পশ্চিমবাংলায় প্রত্যাবর্তন বনাম পরিবর্তনের লড়াই ২০২১ সালে নয়, ২০১৯ সালেই দেখতে পাওয়ার সমূহ সম্ভবনা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রবল নরেন্দ্র মোদী বিরোধী মুখেরা কি অবস্থান নেন তার উপর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!