নিজামুদ্দিনকে করোনার উৎসস্থল বলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ১! জোর চাঞ্চল্য দেশ জুড়ে! জাতীয় April 6, 2020 করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় ভারতবর্ষ চরম লড়াই করছে। অন্যান্য দেশে এর ভয়াবহতা উপলব্ধি করে প্রথম থেকেই তা কঠোর হাতে দমন করতে উদগ্রীব হয়েছেন ভারত সরকার। বর্তমানে টানা 21 দিনের লকডাউন চলছে গোটা ভারতবর্ষে। যেখানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংগ্ৰহ করতে ছাড়া মানুষ আর বেশি যাতে বাইরে না বেরোয়, তার জন্য তাদেরকে ঘরে থাকার আবেদন করছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রতিটি রাজ্য সরকার। তবে এরই মাঝে সম্প্রতি দিল্লিতে নিজামউদ্দিনে তাবলিঘি জামাতের সদস্যদের ব্যাপক জমায়েতের ফলে করোনার সংক্ৰমন বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতা ও কড়া বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও, কেন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত এই সংগঠন তাদের জমায়েত করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, এই সংগঠনের জমায়েত শেষে যে সমস্ত ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাদের ছোঁয়া লেগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। আর এরই মাঝে এবার দিল্লির নিজামুদ্দিনের এই ঘটনাকে করোনা সংক্রমনের উৎসস্থল বলায় এক ব্যক্তির কাছে গুলিবিদ্ধ হতে হল আরেক ব্যক্তিকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের কাছে নিজের বাড়ির সামনেই একটি চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে জামাত সদস্যদের জন্যই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে দাবি করেন এক ব্যক্তি। আর তার পরেই তার বিরোধিতা করেন আরেক ব্যক্তি। আর দুইপক্ষের মধ্যে বচসা তৈরি হয় এবং পরিস্থিতি এমন আকার নেয় যে, শেষপর্যন্ত করোনার উৎসস্থল হিসেবে সেই নিজামুদ্দিনকে দায়ী করা ব্যক্তিকে গুলি বিদ্ধ করে অপর ব্যক্তি। আর এর ফলে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। করোনা পরিস্থিতিতে যখন এখনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয় নি – তখন ঘরে থাকা সোশ্যাল ডিস্ট্যানসিং-ই সুস্থ থাকার একমাত্র উপায়। সেখানে ওই ধর্মীয় জমায়েত বহু মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিল বলে মত প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই কথাই প্রকাশ্যে বলার জন্য একজনকে কেন গুলিবিদ্ধ হতে হবে – এই নিয়েই সরব হচ্ছেন দেশবাসী! জানা গেছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত সেই ব্যক্তিকে যেমন গ্রেপ্তার করা হয়েছে, ঠিক তেমনই মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ স্বরূপ 5 লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এই কঠিন পরিস্থিতিতে যখন গোটা দেশ ধর্ম-বর্ণ ভুলে এক হয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে, সেখানে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে সরব হচ্ছেন সকলেই। একই সঙ্গে সুশীল সমাজ আবেদন করেছেন, বাস্তবটা মেনে নিয়ে আগামীদিনে এই ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনার আর যেন সাক্ষী হতে না হয় ভারতবাসীকে। আপনার মতামত জানান -