এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অন্য দল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে আপত্তি! কড়া বার্তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের!

অন্য দল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে আপত্তি! কড়া বার্তা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বঙ্গ জয়ের টার্গেটকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে বিজেপি। আর বাংলা দখল করতে গেলে তৃণমূলকে যে ব্যাপক পরিমাণে চাপে রাখতে হবে, তা ভালোই বুঝতে পেরেছেন বিজেপির রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা। আর সেই মত করেই এখন তৃণমূলের ঘর ভাঙতে সবথেকে বেশি তৎপর হতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গেরুয়া শিবিরের পতাকা তুলে দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় চাণক্য অমিত শাহ। আর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তার পথ ধরে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে শুরু করেছেন।

তবে এককালে যারা বিজেপিকে আক্রমণ থেকে শুরু করে কটাক্ষ করত, সেই নেতা-নেত্রীরা এখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় কার্যত বিজেপির পুরনো বনাম নতুন নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে দ্বন্দ্ব। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন জেলায় সদ্য দলে আসা নেতাদের মানতে না পেরে বিজেপির পুরনো কর্মীরা বিদ্রোহ করতে শুরু করেছেন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা। আর এই পরিস্থিতিতে এখন কোনোভাবেই যে বিরোধিতা করা যাবে না এবং সকলকে নিয়ে যে একসাথে চলতে হবে, সেই ব্যাপারে রাজ্য বিজেপিকে কড়া বার্তা দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

জানা গেছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখন বেশি বাছবিচার করা যাবে না। নতুনদের সঙ্গে নিয়েই একসাথে চলতে হবে। এমনকি অন্য রাজনৈতিক দল থেকে কেউ বিজেপিতে আসতে চাইলে এই ব্যাপারে শীর্ষ নেতৃত্ব যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, সেটাই সকলকে মেনে নিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। অর্থাৎ বাংলার ক্ষমতা দখল করতে এখন কোনো রকম বাছবিচার করতে চাইছে না গেরুয়া শিবির বলেই দাবি একাংশের।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে ইতিমধ্যেই অনেক হেভিওয়েট নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দলবদল যে চলতে থাকবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সকলেই। কিন্তু এককালে যারা তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন, সেই তারাই এখন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় অনেকেই তা ঠিকমত মেনে নিতে পারছেন না। যার ফলে নীচুতলায় দ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই দ্বন্দ্ব বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক অস্বস্তিতে ফেলে দেয় গেরুয়া শিবিরকে। নির্বাচনের আগে যদি সেই দ্বন্দ্ব বেশি করে সামাল দিতে হয় দলকে, তাহলে কিভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব হবে, তা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন।

বস্তুত, কিছুদিন আগেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করার পর বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদান নিয়ে প্রকাশ্যে আপত্তি জানাতে দেখা যায় বাবুল সুপ্রিয় এবং অগ্নিমিত্রা পালকে। আর তারপরই এই দুই নেতা-নেত্রীকে বিজেপির পক্ষ থেকে শোকজ করা হয়। অর্থাৎ সে যত বড়ই নেতা নেত্রী হোন না কেন, তারা যদি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নিজের মতামত পোষণ করেন, তাহলে তাদের কোনো মতেই যে ছেড়ে কথা বলা হবে না, তা এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট করে দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে সদ্য শুভেন্দু অধিকারীর সাথে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া একাধিক নেতা নেত্রীদের ঠিকমত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। সেদিক থেকে এখন কোনো রকম বাছবিচার না করে সকলকে সাথে নিয়ে যাতে কাজ করা যায়, তার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দিয়ে সকলকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বুঝিয়ে দিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের এক বিজেপি নেতা বলেন, “কৈলাসজিকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন অমিতজি। আর কৈলাশজির নির্দেশ, যাকে যেটুকু কাজ করতে বলা হয়েছে, সেটুকু যাতে করা হয়, যার যা দায়িত্ব, তিনি সেটুকুই পালন করুন। অন্যের বিষয় বা অন্য কোনো বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোনো দরকার নেই।” তবে দলবদল সহ অন্যান্য সমস্ত কিছু বিষয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতি-কৌশলের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা শোনা গেছে বিজেপি নেতাদের গলায়।

অর্থাৎ এখন বিচার না করে শুধুমাত্র দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে এবং সকলের কাছে দলকে প্রতিষ্ঠা করতে অন্য দল থেকে নেতাদের আশা নিয়ে যে কোনো আপত্তি করা যাবে না, তা বুঝিয়ে দিতে চাইছে বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতা নেত্রীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার সবথেকে বেশি চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। তাই অন্য দল থেকে আসা নেতাদের নিয়ে যাতে কোন আপত্তি না হয়, তার জন্য এবার রাজ্য নেতাদের বার্তা দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যে ঘটনার ফলে বিজেপির অন্দরে তৈরি হওয়া গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিছুটা হলেও কমবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!