এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ এবার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নামে

অন্তঃসত্ত্বাকে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তান মেরে ফেলার অভিযোগ এবার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নামে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম অভিযোগ ওঠে। তবে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সভাপতির বিরুদ্ধে। দুই মহিলাকে চূড়ান্ত মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। তাদের মধ্যে একজনের সন্তান নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী করা হচ্ছে ওই পঞ্চায়েত সভাপতিকে। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-1 ব্লকের রায়ান-1 গ্রাম পঞ্চায়েতের হটুদেওয়ান ডাঙাপাড়া এলাকায়।

সূত্রের খবর, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই গ্রামের মহিলা রাকিয়া বিবি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে সালু বিবিকে মারধর করে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি জামাল শেখ। যদিও জামাল শেখ দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেননা বলে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, জখম দুই মহিলা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রুপা বিবির আত্মীয়। রবিবার রাতে রুপা বিবির আত্মীয়দের মধ্যে তুমুল গন্ডগোল শুরু হয়। সেইসময় জামাল শেখ এর নামও জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিবাদ তখনকার মতো মিটলেও সোমবার সকালবেলা নতুন করে মাথাচাড়া দেয় এই পারিবারিক বিবাদ। বিবাদে নাম কেন জড়ালো জামাল শেখের, তাই নিয়ে তিনি এবং তার স্ত্রী সেই সময়ে রাকিয়াদের বাড়িতে আসে অভিযোগ করতে। তর্কাতর্কি মাত্রাছাড়া অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় রাকিয়া এবং সালুকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন জামাল শেখ। এরপর জামাল হঠাৎ করেই সালুর পেটে লাথি মারে বলে জানা গেছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সালুর গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে লাথি মারায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনায় রাকিয়া বিবি এবং তাঁর মেয়ে সালু বিবিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রুপা বেবি সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার ব্যাখ্যা করেছেন এবং জামাল শেখকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বর্ধমান থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। অন্যদিকে জামাল শেখ দাবি করেছেন, তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এই ঘটনার সময় তিনি এলাকায় ছিলেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী এই ঝামেলায় জড়িয়ে ছিলেন। অন্যদিকে শাসকদলের এক অঞ্চল সভাপতির নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে যাওয়ায় তৃণমূলের অন্দরমহলেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অন্যদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বাভাবিকভাবেই ওই এলাকায় তৃণমূল শিবির অস্বস্তিতে। আপাতত এই ঘটনার রেশ কোন দিকে গড়ায়, সে দিকে নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!