এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুষ্ঠানে আমত্রন নিয়েও দলের অন্দরে বাড়ছে নেতা বিধায়ক মন্ত্রীদের দূরত্ব , অস্বস্তি বাড়ছে বই কমছে না

অনুষ্ঠানে আমত্রন নিয়েও দলের অন্দরে বাড়ছে নেতা বিধায়ক মন্ত্রীদের দূরত্ব , অস্বস্তি বাড়ছে বই কমছে না


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত পথশ্রী প্রকল্প। কিন্তু এই প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র না পাওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে কোন্দল। যার ফলে ক্রমাগত দলের নেতা, বিধায়ক ও মন্ত্রীদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। এবং এই ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তির মুখে তৃণমূল।

সম্প্রতি পথশ্রী প্রকল্পের উদ্বোধনের আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চন্ডীতলা 2 ব্লকের বরিজহাটির বিধায়কসহ অন্তত 7 জন জনপ্রতিনিধি। অনেকেই আমন্ত্রণের ধরনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলেছেন। পথশ্রী প্রকল্পে এদিন জেলা প্রশাসনের তরফে শ্রীরামপুর মহকুমায় বরিজহাটিতে প্রকল্পের সূচনা হয়।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওসহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, মন্ত্রী অসীমা পাত্র, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সভাধিপতি মেহবুব রহমান, সহ সভাধিপতি সুমনা সরকার, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়, মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখ।

একই অনুষ্ঠানে আবার অনুপস্থিত ছিলেন চন্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার, জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য অনিন্দিতা মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী কাবেরী ঘোষ, সহ-সভাপতি বিকাশ ঘোষ, বরিজহাটি পঞ্চায়েত প্রধান মামনি পাল। এছাড়াও চন্ডীতলা 1 ব্লক থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের দুই সদস্য ও জেলা পরিষদের অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে অনুপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই জানিয়েছেন, যেখানে শনিবার অনুষ্ঠান সেখানে শুক্রবার বিকেলে তাঁদের জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দুই সদস্য তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে চন্ডীতলা জেলা পরিষদ সদস্য অনুপস্থিত অনিন্দিতা মন্ডল জানিয়েছেন, যেভাবে অনুষ্ঠানের আগের দিন আমন্ত্রণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত অসম্মানজনক।

অন্যদিকে বিধায়ক স্বাতী খন্দকার আগেই জানিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তাই শেষ মুহূর্তে জানলেও তিনি যাবেন কিনা তা ভেবে দেখবেন। দীর্ঘদিন ধরেই চন্ডীতলা তৃণমূল বিধায়ক স্বাতী খন্দকার এবং জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বিদ্যমান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেখান থেকেই অনেকে ইঙ্গিত করছেন আমন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় কলকাঠি নেড়েছেন। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সুবীর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সরকারি অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানায় প্রশাসন। শুক্রবার পর্যন্ত তিনি নিজেই আমন্ত্রণ পাননি বলে জানিয়েছেন এদিন সুবীর।

তবে পুরো ব্যাপারটি নিয়ে যে বেশি জল ঘোলা হচ্ছে সে কথা জানাতে ভোলেননি তিনি। অন্যদিকে অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা পথশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার প্রলয় মজুমদারের এদিন জানিয়েছেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকরা ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব স্বীকার করে নিয়েছেন, আমন্ত্রণের ভঙ্গীমায় তাঁর কাছে অনেক জনপ্রতিনিধিই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। শনিবার বিকেলে জঙ্গলপাড়ার অন্য একটি অনুষ্ঠানে দিলীপ যাদব এবং বিধায়ক স্বাতী খন্দকার একই মঞ্চে ছিলেন বলে জানা গেছে। এবং সেখানেই দিলীপ যাদব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, পথশ্রী অনুষ্ঠান নিয়ে যে গন্ডগোল হয়েছে তা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার বিষয় নয় সেটি।

রাজ্যজুড়ে নিয়ম করে এবার তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের খবর উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে এই নিয়ে জোরদার সমালোচনা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে শাসক দলের সাংগঠনিক ভিত মজবুত হওয়ার কথা, সেখানে কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় সাংগঠনিক ভিত দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। এই অবস্থায় হুগলি জেলায় তৃণমূল শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব যেভাবে প্রকাশ্যে এল তা এবার মেটাতে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!