এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিরোধী শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দেওয়া শুরু করল গেরুয়া শিবির

বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিরোধী শিবিরকে বড়সড় ধাক্কা দেওয়া শুরু করল গেরুয়া শিবির


দেশের প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি শিবিরের ব্যস্ততা এখন চরমে। বিধানসভা ভোটের লক্ষ্যে প্রতিটি রাজ্যে সংগঠন মজবুত করতে ব্যস্ত তাঁরা। প্রতিটি রাজ্যের জন্য রয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। আপাতত নজর সম্প্রতি নির্বাচন হতে চলা মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে। 2019 এর লোকসভা জয়ের পর নিঃসন্দেহে বিজেপি এবার দেশের সবকটি বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে।

বিরোধীদের অনেকটা পেছনে ফেলার লক্ষ্য এবার তাঁদের। আর এবার হরিয়ানায় নির্বাচনের দিন ঘোষণার মধ্যেই বিজেপি দিল বড় ধাক্কা হরিয়ানা কংগ্রেস এবং আইএনএলডিকে। হরিয়ানা কংগ্রেস থেকে এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন রামপাল মিশ্র এবং দুদা রাম। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার-এর উপস্থিতিতে এদিন বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা। সম্প্রতি কংগ্রেস শিবির ত্যাগ করেছেন জাঁদরেল নেতা দুদা রাম। নির্বাচনের দিন ঘোষণার সাথে সাথেই বিজেপিতে খুশির হাওয়া।

নির্বাচন কমিশন হরিয়ানা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছেন 21 অক্টোবর। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে 24 অক্টোবর বলে জানিয়েছে। 2014 নির্বাচনের প্রথমে হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। হরিয়ানায় 90 টি আসনের মধ্যে 47 টি আসন অধিকার করে বিজেপি। আর এবার বিজেপির লক্ষ্য 47 থেকে বেড়ে 75 টি আসন। যুদ্ধ জয়ের লক্ষ্যে হরিয়ানায় ইতিমধ্যে বিজেপি সংগঠনের দিক থেকে ক্রমশ শক্তি বাড়ানো চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করায়, তাঁদের শক্তি আরও কিছুটা বাড়লো বলে মনে করছে বিজেপি। উল্লেখ্য, বিজেপি বিরোধিতায় কংগ্রেস শক্তি বাড়াতে গত 15 সেপ্টেম্বর আইএনএলডির প্রাক্তন সহ-সভাপতি অশোক অরোরা, হরিয়ানার প্রাক্তন মন্ত্রী সুভাষ গোয়েল, এমএলএ প্রদীপ চৌধুরী, গগণজিৎ সান্ধু এবং নির্দল বিধায়ক জয়প্রকাশ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আর এবার অন্যদিক থেকে কংগ্রেস থেকে দুঁদে নেতা বেরিয়ে এসে বিজেপিতে যোগদান করল। অর্থাৎ হিসাব সমান সমান বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিন জন আশীর্বাদ যাত্রায় বেরিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। তার মধ্যে স্পষ্টভাবে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁরা অর্থাৎ বিজেপি এইবার হরিয়ানাতে অতি সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন আগেরবারের মতই। তবে এবারে আসন সংখ্যা অনেকাংশেই বাড়বে বলে মনে করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি হরিয়ানার পূর্ব সরকারকে আক্রমণ করে বলেছেন, রাজ্যের মানুষের যে দুর্দশা, অবক্ষয়ের শুরু হয়েছে, তার সূত্রপাত হরিয়ানার পূর্ব সরকারের দ্বারাই হয়েছে।

তবে এবার হরিয়ানায় বিজেপির লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা, সেদিকে নজর রাখছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আগেই বিজেপি এরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাবে সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এবার আবারও সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ হয় কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে 24 অক্টোবর পর্যন্ত। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন – এমনিতেই লোকসভা নির্বাচনের পরে ছত্রভঙ্গ বিরোধীরা। আর তারপর, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ঝড় তুলে বিধানসভা নির্বাচনে ফসল ঘরে তুলবে বিজেপি। আর এর মধ্যেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন শুরু হতেই – তাদের কাজ আরও শক্ত হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!