এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের চালেই এবার তৃণমূলকে মাত দিতে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা! রাজনৈতিক জল্পনা চরমে

তৃণমূলের চালেই এবার তৃণমূলকে মাত দিতে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা! রাজনৈতিক জল্পনা চরমে


করোনা ভাইরাসের কারণে রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচনগুলো বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। কলকাতা পৌরসভায় কোনোদিন প্রশাসক বসানো নজির না থাকলেও, এবার নির্বাচন না হওয়ায় সেখানে প্রশাসক বসিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রশাসক করা হয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। যার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, রাজ্য সরকার নিজেদের মত করে পৌরসভা চালানোর জন্যই প্রাক্তন মেয়রকে বসিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে।

তবে শুধু শাসকদল পরিচালিত পৌরসভা নয়, সম্প্রতি বাম পরিচালিত শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন ভট্টাচার্যকে প্রশাসক পদে বসানো হবে বলে সরকারের তরফে খবর পাওয়া গিয়েছিল। যার পরে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছে বিরোধী দল বাম এবং কংগ্রেস। কেননা তারা কলকাতা পৌরসভায় ফিরহাদ হাকিমকে প্রশাসক করার পরে প্রশ্ন তুলেছিল। ফলে তাদের দলের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য প্রশাসক পদে শিলিগুড়ি পৌরসভায় বসেন এবং তারা যদি তা মেনে নেয়, তাহলে তাদের দুই ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই এমত পরিস্থিতি থেকে নিজেদের দূরে রাখতে এবার রাজনৈতিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে সিপিএম এবং প্রদেশ কংগ্রেস। জানা গেছে, শিলিগুড়ি পৌরসভা যেমন বামফ্রন্টের হাতে রয়েছে, ঠিক তেমনি দক্ষিণবঙ্গের জয়নগর পৌরসভা দায়িত্বে রয়েছে কংগ্রেস। ফলে সেদিক থেকে যদি এই দুই পৌরসভায় কংগ্রেস এবং সিপিএমের চেয়ারম্যানকে রাজ্য সরকার প্রশাসক করে দেয় এবং তাতে যদি নিশ্চুপ থাকে এই দুই দল, তাহলে কলকাতা পৌরসভায় তাদের সোচ্চার হওয়া নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠতে পারে।

তাই এবার এই ব্যাপারে সচেতন ভাবেই পা ফেলতে চাইছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং ভবনের নেতারা। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের এক পলিটব্যুরো সদস্য বলেন, “আমরা প্রশাসক মন্ডলীর বসানোর সিদ্ধান্তের নীতিগত বিরোধিতা করেছিল। নীতিগত বিরোধিতা থাকলে নিজেরা সেই ব্যবস্থা স্বীকার করে নেওয়া উচিত নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “শাসকদল আমাদের ফাঁদে ফেলতে চাইছে। ওদের সিদ্ধান্তকে আমরা বলেছি, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার কৌশল। সেই কৌশলে আমাদের জড়িয়ে নিলে মানুষের কাছে দ্বিচারিতা প্রকট হবে। ফায়দা হবে বিজেপির।”

কিন্তু বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, বাম এবং কংগ্রেস এই কথাকে মাথায় রেখে যদি পৌরসভার প্রশাসক পদের দায়িত্ব না নেয়, তাহলে তৃণমূলের তরফে পাল্টা প্রচার করে এটাও বোঝানো হতে পারে যে, তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। তখন আরও চাপে পড়তে হতে পারে এই দুই রাজনৈতিক দলকে। কিন্তু, তৃণমূল পুরসভায় প্রশাসক বসানোর ছলে ‘রাজধর্ম পালনের’ নামে আসলে এক রাজনৈতিক চাল দিয়েছিল বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এবার তাই তৃণমূলের সেই চালের পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ানোকেই অগ্রাধিকার দেওয়ার পথে বিরোধীরা বলে মনে করছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!