এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “ওঁর মুখে গদ্দারির কথা মানায় না। কাউকে গদ্দার বলার কোনও অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।” – বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ

“ওঁর মুখে গদ্দারির কথা মানায় না। কাউকে গদ্দার বলার কোনও অধিকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই।” – বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই বারবার তৃণমূলের কটাক্ষের মুখে পড়ছেন তিনি। পরে শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর সমগ্র অধিকারী পরিবারই বারবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আক্রমণের মুখে পড়েছে। গতকাল নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি নাম না নিয়েও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন সমগ্র অধিকারী পরিবারকে। বারবার তাঁদের গদ্দার, মীরজাফর বলে আখ্যা দিলেন তিনি। এবার তার পাল্টা জবাবে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস ছেড়ে এসে কি গদ্দারি করেননি? তাঁর মুখে গদ্দারির কথা মানায় না। কাউকে গদ্দার বলার কোন অধিকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেই। তিনি জানালেন, একটা সময় নিজের জীবন বাজি রেখেও শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নন্দীগ্রামে তৃণমূলকে জিতিয়ে ছিলেন। এখন তাঁদেরকে বলা হচ্ছে গদ্দার। অধিকারী পরিবার একটা সময় তৃণমূলের জন্য অনেক কিছু করেছে, তার বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করেছেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান ঘটেছিল। ১০ বছর সেখানে কতবার এসেছেন তিনি? এখন নির্বাচন সামনে আসতেই নন্দীগ্রামের কথা তাঁর মনে পড়েছে। তিনি জানান, নন্দীগ্রামের মানুষ আন্দোলনের সময় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশে ছিলেন। কিন্তু এখানে এসে একবারও উন্নয়নের কথা মনে পড়েনি তাঁর। এখন ভোটের বাজার ধরতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন তিনি নন্দীগ্রামে। তিনি জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ পয়লা এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর জবাব দেবেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে ফোন করে তৃণমূলকে সহযোগিতা করার কথা বলেছিলেন তিনি। তিনি প্রশ্ন করেছেন, তাঁকে কি মুখ্যমন্ত্রী গদ্দারি শেখাচ্ছেন না? মুখ্যমন্ত্রী নিজেই গদ্দারি করেছেন, তাই কাউকে গদ্দার বলার কোন অধিকার নেই তাঁর।

অন্যদিকে, প্রথম দফা নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানালেন, শুরুটা ভালো হয়েছে, শেষও ভালোই হবে। তাঁরা বারবার মানুষের কাছে আবেদন জানিয়ে ছিলেন যে, এগিয়ে এসে ভোট দিতে, কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে, নির্বাচন কমিশন আছে। নিজের অধিকার সুরক্ষিত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে কোন অসুবিধা হয়নি। তবে বাইরে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, বিজেপি ৩ জন কর্মীকে খুন করা হয়েছে, সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে, এর পরও মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর অহংকার চূর্ণ হয়ে গেছে। এখন অনুনয়, বিনয় করে বিভিন্ন নেতাকে তিনি ফোন করছেন, আবেদন-নিবেদন করছেন। তিনি চলে গেছেন ব্যাকফুটে।

আবার ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জানান, ২০১১, ২০১৬ সালেও কেন্দ্রীয় বাহিনী, ইভিএম ছিল। এ সময় মুখ্যমন্ত্রী জিতে ছিলেন। এখন কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী, ইভিএমকে নিশানা করছেন? কেন ভয় দেখাচ্ছেন? মানুষ ভোট দিয়েছেন অবাধে, বিজেপির জয় নিশ্চিত। সাধারণ মানুষ এখন আর তৃণমূলকে পাত্তা দিচ্ছেন না। তৃণমূল আর ভয় দেখাতে পারছে না। বাইরে সন্ত্রাসের পরিবেশের সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!