‘ওরা যত জনকে দায়িত্ব দিক না কেন, বাংলার মানুষ মমতার পাশেই রয়েছেন।’ দাবি মন্ত্রীর তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 19, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতই কাছে আসছে, ততই রাজ্যের দুই বিরোধী দল তৃণমূল এবং বিজেপি পরস্পরের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাকে গুজরাট করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার পাল্টাও দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আর এবার বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের বাংলাকে গুজরাট করার হুঁশিয়ারিকে তীব্র কটাক্ষ করে বিবৃতি দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, বিজেপি যাই করুক না কেন বাংলার মানুষ সব সময় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবে। মঙ্গলবার উত্তর 24 পরগনা হাবড়ায় নিজের 64 তম জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠান পালন করতে যান খাদ্যমন্ত্রী। আর সেখান থেকেই তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাংলাকে গুজরাট বানানোর মন্তব্যের পাল্টা বলেন- গুজরাট স্বর্গ নয়। সেখানে গেলে কোন ভগবান দেখা যাবেনা। সোমবার উত্তর 24 পরগনার বারাসাত থেকেই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাকে গুজরাট বানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর এদিন পাল্টা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, গুজরাটকে মানুষ চেনেন দাঙ্গার জন্য, ট্রেন পোড়ানোর জন্য। তাই বাংলাকে কোনমতেই গুজরাট হতে দেবেন না তাঁরা। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়কাল যতই এগিয়ে আসছে, ততই তৎপরতা জোরদার করছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই বাংলায় বিজেপির পক্ষ থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্যকে। একই সাথে বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করা হয়েছে এবং পাঁচটি জোনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। আর এ প্রসঙ্গেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিজেপি যতজনকে খুশি দায়িত্ব দিতেই পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেছে নেবে। অন্যদিকে বিজেপির পাশাপাশি এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাঁর মতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এককথায় বিজেপির ‘এজেন্ট’ এবং ‘সুপার সভাপতি’। পাশাপাশি তিনি সোজাসুজি দিলীপ ঘোষকে চ্যালেঞ্জ করেন এই বলে যে, 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনের দিলীপ ঘোষ যেখানেই দাঁড়াবেন সেখান থেকেই তাঁকে হারানো হবে। 64 তম জন্মদিন উপলক্ষে হাবড়ার বাণীপুর এলাকায় একটি ভবঘুরে আবাসের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সঙ্গে সময় কাটান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেখান থেকেই বিজেপিকে কড়া বার্তা দিতে পিছপা হননি তিনি। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কাশ্মীর শান্ত হয়েছে। ঠিক একইভাবে বাংলায় যেভাবে অরাজকতা চলছে, তাও থেমে যাবে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পশ্চিমবঙ্গ দখলের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে মরিয়া বিজেপি। বিশেষত বিহারে এনডিএ জোটের জয় এবং বিজেপির বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর কেন্দ্রীয় শাসকদলের বাংলা দখলের পরিকল্পনা আরো মজবুত হয়েছে। আর তাই গেরুয়া শিবিরের এখন একটাই উদ্দেশ্য তৃণমূল সরকারকে হটিয়ে যেনতেন প্রকারেণ বাংলায় বিজেপির জয়। অন্যদিকে তৃণমূলও পিছিয়ে থাকার নয়। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যে রাজ্যের মন্ত্রীরা নেমে পড়েছেন পাল্টা রাজনীতির ময়দানে। পাশাপাশি রাজ্যে যেভাবে কেন্দ্রীয় নেতারা এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব তুলে নিচ্ছেন নিজেদের কাঁধে তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তাঁরা। আপনার মতামত জানান -