এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সংগঠক শিক্ষকদের’ তালিকা রাজ্যের, তাতেও দুর্নীতি! হবে বৃহত্তর আন্দোলন

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘সংগঠক শিক্ষকদের’ তালিকা রাজ্যের, তাতেও দুর্নীতি! হবে বৃহত্তর আন্দোলন

বেশ কিছুদিন আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে রাজ্যের ‘সংগঠক’ শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করতে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তালিকা তৈরি হলে কী হবে! এবার সেই তালিকা নিয়েই তীব্র আপত্তি জানাল কিছু সংগঠক শিক্ষক – উঠল দুর্নীতির অভিযোগ।

অভিযোগ, রাজনৈতিক নেতাদের সুযোগ নিয়ে এবং ভুল তথ্য দিয়ে অনেকেই নিজেদের এই সংগঠক শিক্ষকদের তালিকায় ঢুকিয়ে নিচ্ছেন। যার ফলে কাজের কাজ তো কিছু হচ্ছেই না উল্টে প্রকৃত সংগঠক শিক্ষকরাই তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন। সূত্রের খবর, এরকমই একটি স্কুল হাসনাবাদের বিদ্যাসাগর শিশু শিক্ষানিকেতন ২০০০ সালে তৈরি হলে তা প্রায় ১০ বছর পর্যন্ত চলে। এমনকী স্কুলের জন্য সরকারি অনুদান এবং বইও তাঁরা পেয়েছেন বলে জানান এখানকারই প্রধান শিক্ষক স্বপনকুমার মন্ডল।

আর তাই, হিসেব মত এই স্কুলের শিক্ষকদের সংগঠক শিক্ষকের মর্যাদা পাওয়ার অধিকার থাকলেও গত জুলাই মাসে সেই সংগঠক শিক্ষকের ফর্ম তুলতে গেলে তাঁদের জানানো হয় যে ফর্ম দেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আর এইখানেই তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক – কেননা, একদিকে এই ফর্ম শেষের কথা জেলা প্রশাসন যেমন তাঁদের আগেভাগে জানায়নি ঠিক তেমনই যাঁরা এই সংগঠক শিক্ষকের পদে আবেদন করেছেন তাঁরা অনেকে শিক্ষকতাই করেনি।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা যায়, এই স্কুলের শিক্ষকদের এইরূপ অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শনও করা হয়। যে সমস্ত স্কুলের হয়ে এই সংগঠক শিক্ষকরা যোগদান করছেন সেই স্কুলের প্রধানরাও এই শিক্ষকদের চেনেন না বলে অভিযোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে বর্তমানে এই একই ছবি উঠে আসতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।

সংগঠক শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, “প্রাথমিকে শিক্ষকতা নিশ্চিত করতেই শাসকদলের কিছু প্রার্থীর ভুয়ো তথ্য দিচ্ছে লিগাল সার্ভিস অথরিটি এবং জেলা প্রশাসন”। ভবিষ্যতে এরকমই চলতে থাকলে বড়সড় আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্নরূপে অস্বীকার করেছে উত্তর ২৪ পরগনার ডিআই সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়।

অন্যদিকে ওয়েষ্ট বেঙ্গল লিগাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য সচিব অজয় গুপ্ত তো এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্যই করতে চাননি সংবাদমাধ্যমের কাছে। সব মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সংগঠক শিক্ষকদের তালিকা তৈরি হলেও তাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে, পথে নেমে সেই সংগঠক শিক্ষকদেরই একাংশ এবার বড়সড় আন্দোলন করার পথে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!