এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ওড়িশার সপ্তম শ্রেণী পাশ যুবক ‘টপ সিক্রেট’ ফর্মুলায় তৈরী করে ফেললেন করোনা ভ্যাক্সিন! তারপর?

ওড়িশার সপ্তম শ্রেণী পাশ যুবক ‘টপ সিক্রেট’ ফর্মুলায় তৈরী করে ফেললেন করোনা ভ্যাক্সিন! তারপর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হাজার চেষ্টার পরও করোনার সংক্রমণ কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দাবানলের মতই। এর ফলে গোটা বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে করোনার ভ্যাকসিন হাতে পেতে। বিশ্বের দেশে দেশে করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চলছে পুরোদমে। এদেশেও যা চলছে জোড় কদমে। করোনা ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া মাত্রই সমগ্র দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেবার কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন যে, আগামী বছরের আরম্ভেই করোনার ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। এই অবস্থায় উড়িষ্যার জনৈক যুবক প্রহ্লাদ বিশি জানালেন। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত উড়িষ্যার রুসুদা গ্রামের জনৈক বাসিন্দা প্রহ্লাদ বিশি সম্প্রতি করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলেছেন বলে ড্রাগ কন্ট্রোলকে জানান। এরপর তার ভ্যাকসিন বিক্রির লাইসেন্স পেতে ইমেইল করেন ড্রাগ কন্ট্রোলকে। তার এই ইমেইল পাওয়ার পরই এই বিষয়টি প্রশাসনের কর্তাদের নজরে আসে। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা তার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়।

এরপর তার বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এবং তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে ‘কেভিড-১৯ ভ্যাকসিন’ লেবেল আটা বেশ কয়েকটি ওষুধের শিশি। পুলিশ যখন তার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিল যে, তিনি তার করোনার ভ্যাকসিন কি কি উপাদানে তৈরি করেছেন? এর উত্তরে কিছুই জানান নি তিনি। পুলিশের জেরায় পড়ে এটুকুই শুধু জানিয়েছেন যে, বিষয়টি টপ সিক্রেট।

তার দাবি করা করোনার ভ্যাকসিনের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, বছর ৩২ এর এই যুবক সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। করোনার ভ্যাকসিন ছাড়াও তার ঘরে আরেক ধরনের ঔষধ উদ্ধার করে পুলিশ। তার দাবি এই ওষুধগুলো বন্ধ্যাত্ব নাশক হিসেবে কাজ করে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন যে, এই ওষুধগুলি বেশ কয়েকজন তার কাছ থেকে অনেক দাম দিয়ে এরমধ্যেই কিনেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রহ্লাদ বিশির দাবি করা এই করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে ড্রাগ ইন্সপেক্টর সুস্মিতা দেহুরি জানালেন, ” ওই যুবক ওর তৈরি ভ্যাকসিন বেচতে চেয়ে ইমেল করতেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। ওর বাড়িতে হানা দেওয়ার পর আমরা দেখতে পাই বহু কাচের শিশিতে পাউডার ও রাসায়নিক রাখা। তার গায়ে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন’ লেখা।’’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান যে, ড্রাগ কন্ট্রোলের অধিকর্তারা তাকে ১৮ (সি) ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইনের ১৯৪০ নম্বর ধারায় গ্রেপ্তার করেছেন। এ বিষয়ে তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন যে, এই অভিযুক্ত পূর্বে এই এলাকাতে কোন ওষুধ তৈরির ব্যাপারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিনা।

তবে আশার কথা এটাই প্রহ্লাদ বিশির দাবি করা করোনার ভ্যাকসিনের এখনো পর্যন্ত বিক্রি শুরু হতে পারে নি। ইতিপূর্বে করোণা রোধে পাঁপড় খাওয়া, কাদায় বসে শাঁখ বাজানো ইত্যাদি নিদান শোনা গেছিল, এবার সেই তালিকায় নতুন সংযোজন হলো প্রহ্লাদ বিশির করোনার ভ্যাকসিন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!