এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ওস্তাদের মার শেষ রাতে! ভবানীপুরে শেষ বেলায় তৃণমূলকে এক ধাক্কায় ব্যাকফুটে ফেলে দিলো বিজেপি

ওস্তাদের মার শেষ রাতে! ভবানীপুরে শেষ বেলায় তৃণমূলকে এক ধাক্কায় ব্যাকফুটে ফেলে দিলো বিজেপি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে। আর ভবানীপুরে সেটাই করে দেখালো বিজেপি। এক কৌশলেই এক ধাক্কায় তৃণমূলকে ফেলে দিল অনেকটা ব্যাকফুটে। গতকাল বিকেলে ভবানীপুরে প্রচারের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ভোটের আর মাত্র দু’দিন। এই অবস্থায় ভবানীপুরের সমস্ত ভোটারদের কাছে পৌঁছতে বিশেষ পদক্ষেপ নিল বিজেপি। এমনকি যারা তৃণমূলের কর্মী, সমর্থক তাদের কাছেও পৌঁছাবে বিজেপি।

ভবানীপুরের শেষবেলায় বাজিমাত করতে বড়োসড়ো মাস্টারপ্ল্যান বের করেছে বিজেপি। গেরুয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, ভবানীপুরের সমস্ত ভোটারদের কাছে চিঠি পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ইভিএম এর একটি চিহ্ন দেওয়া আছে এই চিঠিতে। আর এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনটি মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করেছে বিজেপি। চিঠিতে জানানো হয়েছে যে, ভবানীপুরের ভোটে সরকার বদল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করা সম্ভব। আর যদি মুখ্যমন্ত্রীকে বদল করা যায়, তবে রাজ্যের দুর্নীতি কিছুটা হলেও কমানো যাবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অস্ত্র হিসেবে লেখা হয়েছে যে, ভবানীপুরের নির্বাচন পরিবর্তনের ভোট নয়। কিন্তু এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের একটি ভোট পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মানুষকে দুর্নীতির ভোগান্তি থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দিতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী যদি পরাজিত হন, তবে শাসকদল তৃণমূল ও প্রশাসনের ভেতরের দুর্নীতির প্রবণতা কিছুটা হলেও কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃতীয় অস্ত্র হিসেবে বলা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী যদি ভবানীপুরে জয়ী হন, তবে ভবানীপুরের মানুষের একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে তিনি চলে যাবেন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল যদি জয়ী হন, তবে তিনি সবসময় ভবানীপুরের মানুষের পাশে থাকবেন।

এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনটি বড় অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছে এই চিঠিতে। জানা যাচ্ছে, ভবানীপুরের ৪০ হাজার পরিবারের কাছে এই চিঠি পৌছে দেয়া হবে। এই পরিবারের কেউ যদি তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকও হন, তাদের কাছেও চিঠি পৌঁছে দেয়া হবে। আর বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দানের বার্তা দেয়া হবে। তবে, হাতে সময় কম থাকায়, কতদূর সে কাজ সম্পন্ন করা যাবে? তা নিয়ে সংশয় আছেই। আবার, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে ভোটারদের কাছে বার্তা দিয়েছে তৃণমূল।এবার তার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিন অস্ত্র সম্বলিত চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি।

এভাবে, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে একেবারে শেষ মুহূর্তে নিঃশব্দে ঝড় তোলার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, বিজেপির এই পদক্ষেপ যথেষ্ট রকম তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটের প্রচারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। যার ফলে অনেকটা ব্যাকফুটে পড়ে যেতে পারে তৃণমূল, এমন সম্ভাবনাও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বিজেপির এই প্রচেষ্টাতে কতটা সাফল্য আসবে? তা বুঝতে গেলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ৩ রা অক্টোবর পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!