এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অস্বস্তি কাটাতে এবার কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, দলত্যাগী বিধায়কদের শোকজের নোটিশ

অস্বস্তি কাটাতে এবার কড়া পদক্ষেপ তৃণমূলের, দলত্যাগী বিধায়কদের শোকজের নোটিশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবিরে ভাঙনের ধারা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই শাসক দলের এতজন নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ গিয়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে যা কার্যত তীব্র অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল শিবিরকে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব বিধায়করা গেরুয়া শিবিরে গেছেন, তাঁরা অনেকেই এখনও বিধায়ক পদ আগলে রয়েছেন। তাই এবার শাসক দল থেকে দলত্যাগী নেতাদের কাছে প্রশ্ন রাখল তাঁদের অবস্থান নিয়ে। সূত্রের খবর, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় চিঠি দিয়ে 12 জন দলত্যাগী বিধায়ককে শোকজ করেছেন, শুধুমাত্র নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে।

কারণ গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার আগে শুভেন্দু তাঁর বিধায়ক পদ তৃণমূলে ছেড়ে দিয়ে যান। জানা যাচ্ছে, শোকজ নোটিশে 12 জন বিজেপিতে যোগদানকারী বিধায়ক এর বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, তাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করার পরেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কিংবা সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাই দলত্যাগী বিধায়কদের সাতদিন সময় দেওয়া হয়েছে তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য। তবে যে 12 জন বিধায়ককে শোকজ করা হয়েছে, তাঁদের কেউই কোনো জবাব দেননি। শুধুমাত্র কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী দীর্ঘদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন দলীয় বিবাদের কারণে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শোকজের নোটিশ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করলেন মিহির গোস্বামী। প্রশ্ন তুলেছেন এই চিঠির বৈধতা নিয়েও। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে কিংবা চিঠির মাধ্যমে ইস্তফা চান, তাহলে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেবেন। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এর আগে কংগ্রেস এবং বামেদের অন্ততপক্ষে 19 জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

তাঁদের কেউ কেউ সাংসদও হয়েছেন। তাঁরা কেউই নিজের বিধায়ক পদ ছাড়েননি। যদিও মিহির গোস্বামীর বক্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পর্যন্ত তৃণমূল শিবিরের কেউ দেননি। তবে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, দলত্যাগী বিধায়কদের চাপে রাখার জন্যই তৃণমূল শিবির থেকে শোকজের নোটিশ জারি করা হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের এই শোকজ জারি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিতর্ক। আপাতত দেখার এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়!

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!