এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অতিমারী পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলায় বড়সড় স্বস্তি! হাসি চওড়া মমতার?

অতিমারী পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকোর্টে মামলায় বড়সড় স্বস্তি! হাসি চওড়া মমতার?


দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ ঘিরে বিরোধীদের সঙ্গে শাসক শিবিরের বিতর্ক চলছেই। বর্তমানে করোনার উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গে। কলকাতাসহ 112 টি পুরসভায় গত এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ভোটের দিনক্ষণ পিছিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকার কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ করে।

কিন্তু রাজ্য সরকারকে বিপাকে ফেলতে উত্তর কলকাতার বাসিন্দা শরৎকুমার সিংহ মামলা করেন প্রথমে হাইকোর্টে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসক বোর্ডকেই কেয়ারটেকার হিসেবে মেনে নেয় এবং 20 শে জুলাই পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। এই নির্দেশকে মানতে পারেননি শরৎকুমার সিংহ। তাই তিনি হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং জানিয়েছিলেন, যেভাবে কলকাতা পুরসভা প্রশাসক নিয়োগ হচ্ছে তা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি এবং সংবিধান বিরোধী।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল, কলকাতার পুর আইনে প্রশাসক বসানোর নিয়ম না থাকলেও করোনা ভাইরাস বা এহেন অতিমারি পরিস্থিতিকে সামাল দিতে শাসনকার্য চালানোর জন্য প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। সেক্ষেত্রে ‘রিম্যুভাল অফ ডিফিকাল্টিস’ অ্যাক্ট প্রয়োগ করে পুর বোর্ডের কার্যকালের মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে এবং যা সংবিধানকে কোনোভাবেই লংঘন করছেনা। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তীতে এই মামলা আবারও হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেয় এবং ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে এতদিন ধরে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মঙ্গলবার এই মামলাটি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের অতিমারি পরিস্থিতিতে কাজ চালানোর জন্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে র্ডন্যান্স জারি করার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা মাত্রই নির্বাচন কমিশনকে ভোট করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত কলকাতা পুরসভার পুরভোটের মেয়াদ শেষ হবার আগেই আপৎকালীন আইন প্রয়োগ করে পুরসভার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করে রাজ্য পুরো ও নগর উন্নয়ন দপ্তর।

সেই অনুযায়ী ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পরিষদদেরও নিয়োগ করা হয়। আর এখান থেকেই শুরু হয় ঝামেলা। আপাতত প্রসাশক নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন টানাপোড়েন চলার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল বলে মনে করা হচ্ছে। একাধারে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে দলগত সমস্যা- সব মিলিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছুটা চাপে ছিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সে দিক থেকে হাইকোর্টের রায় তাঁকে যথেষ্ট চাপমুক্ত করল বলে মনে করছেন অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!