এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > ওয়াইসির আসল টার্গেট কারা? একুশের ভোটের আগে দিলেন বড়সড় ইঙ্গিত? ঘুম উড়তে চলেছে কোন শিবিরের?

ওয়াইসির আসল টার্গেট কারা? একুশের ভোটের আগে দিলেন বড়সড় ইঙ্গিত? ঘুম উড়তে চলেছে কোন শিবিরের?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  হায়দ্রাবাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিতেই প্রচার পর্ব জমজমাট হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘু ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল বলে পরিচিত এআইএমআইএমের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান ভারতবর্ষের রাজনীতিতে তারা “লায়লা”। আর বাকি দলগুলো “মজনু”। আর এই পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষের প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচনেই এখন প্রার্থী দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে এআইএমআইএমের গলায়।

সম্প্রতি বিহারের বিধানসভা নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও তারা প্রার্থী দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে ঘুম উড়তে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, এই রাজনৈতিক দলটি বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই এআইএমআইএম আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রার্থী দেয় তাহলে কি হবে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ?

এই রাজনৈতিক দলের সব থেকে বড় টার্গেট কারা? এমনিতেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তার মধ্যে এই সংখ্যালঘু ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক দলটি যদি প্রার্থী দেয়, তাহলে ভোট কাটাকাটি হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে নির্বাচনী ফলাফলে পরিস্থিতি 180 ডিগ্রি ঘুরে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

মূলত, রাজ্যের বেশ কয়টি জেলা রয়েছে, যেখানে সংখ্যালঘুদের আধিপত্য বেশি। যার মধ্যে অন্যতম উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং হাওড়ার মত জেলাগুলো।এতদিন এই জেলাগুলোতে সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু এই রাজনৈতিক দলটি যদি এই সমস্ত জায়গায় প্রার্থী দেয়, তাহলে সংখ্যালঘু ভোট তাদের দিকে যেতে পারে।

পাশাপাশি এতদিন সিংহভাগ সংখ্যালঘুদের সমর্থন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে থাকলেও, এবার এই রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিলে তা ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে অনেক আসনেই শেষ হাসি হাসতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই এই সমীকরণ যদি তৈরি হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে তা ব্যাপক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এখন থেকেই এই গোটা বিষয়টি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৈরি হয়েছে শাসক দলের নেতাদের কপালে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই সমস্ত সমীকরণে এখন বাংলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই হায়দ্রাবাদে যখন নির্বাচনী প্রচার জমজমাট হয়ে উঠেছে, তখন রোহিঙ্গা সহ একাধিক ইস্যুতে অমিত শাহের সঙ্গে তরজা বাধতে দেখা গেছে সেই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির। যার মধ্যে দিয়ে একাংশ বলছেন যে, এই রাজনৈতিক দলটি বিজেপির এজেন্ট বলে দাবি করত একাংশ। কিন্তু হায়দ্রাবাদের নির্বাচনী প্রচারে দুই দলের মধ্যে তরজা দেখেই কার্যত স্পষ্ট যে, এই রাজনৈতিক দলটি বিজেপির এজেন্ট নয়।

স্বাভাবিকভাবেই তারা যদি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেয়, তাহলে তা সব থেকে বড় আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কেননা গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপির শ্রীবৃদ্ধি হতে শুরু করেছে রাজ্যে। সংখ্যালঘুদের সমর্থন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সেক্ষেত্রে বড় মূল্যবান বিষয়।

কিন্তু সেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক যদি এআইএমআইএমের কারণে ভাগাভাগি হতে শুরু করে, তাহলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে তৃণমূলের ভালো ফলাফলের আশা ধুলিস্যাৎ হবে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এখন সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক নিজেদের দখলে রাখতে তৃণমূল কংগ্রেস কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!