এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ‘নো সাইড এফেক্ট’! ভারতে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে ক্রমশ উজ্জ্বল আশা!

এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ‘নো সাইড এফেক্ট’! ভারতে অক্সফোর্ডের টিকা নিয়ে ক্রমশ উজ্জ্বল আশা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বর্তমানে এখন সকলের একটাই দাবি, সেটা হল করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের। তবে বর্তমানে যে সমস্ত ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে, তাদের মধ্যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তবে এই ভ্যাকসিনের কাহিনী ততটাও সুখকর নয়। প্রথমে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর ট্রায়ালের সন্তোষজনক খবর পাওয়া যেতে সিরাম ইনস্টিটিউট ভ্যকসিনটি তৈরীর বরাত পায়। এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রোজেনেকার তরফ থেকে জানানো হয় যে, যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছিল তাদের মধ্যে, অপ্রত্যাশিতভাবে একজন ভলান্টিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের টিকার ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে।

পরে অবশ্য জানা যায় যে, এই টিকা নেওয়ার পর একজন স্বেচ্ছাসেবক অতিরিক্ত জ্বরে কাবু হয়ে পড়েন। ট্রায়ালের রুটিন প্রক্রিয়া অনুযায়ী, কোনও স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ভ্যাকসিনের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ট্রায়াল বন্ধ করে দেওয়াটাই নিয়ম। তবে এরপর সংস্থার রিভিউ কমিটি পুনরায় ভ্যাকসিনটির ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে বলেই আশ্বস্ত করেন তাঁরা। সেই রিভিউ এর পর তাঁরা ছাড়পত্র দিলেই আবার ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের কাজ শুরু হবে বলেই তাঁরা জানিয়েছিলেন। তবে সেই রিভিউ এর পর শাপমুক্তি ঘটেছে ভ্যাকসিনের। তবে সম্প্রতি সেই সুখবরের সঙ্গে আরো একটি সুখবর শোনা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

চণ্ডীগড়ের PGIMER হাসপাতাল ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ট্রায়াল নিয়ে বড়সড় বড় সুখবর শুনিয়েছে। তাদের রিসার্চ অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৬৫ জন স্বেচ্ছাসেবককে পরীক্ষামূলকভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৫৩ জনকে টিকা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও তাদের মধ্যে কোনো অসুবিধে লক্ষ্য করা যায়নি। সেই সঙ্গে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, এই এক সপ্তাহের মধ্যে এই ৫৩ জনের মধ্যে কারও শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই আপাতত এই ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এর সঙ্গে মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে এটা কার্যকর কিনা, সেটাও দেখা হবে বলেই জানা গেছে।

চণ্ডীগড়ের PGIMER হাসপাতালের এক আধিকারিকের তরফে জানা গেছে যে, ওই হাসপাতালে মোট ৯৭ জন স্বেচ্ছাসেবককে টিকা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে ৬৫ জনকে ইতিমধ্যেই টিকা দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে ৫৩ জন টিকা নেওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও এদের মধ্যে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে সব ঠিক থাকলে এরপর এই হাসপাতালেই মোট ৩০০ জনের উপর অক্সফোর্ডের এই টিকার পরবর্তী পর্যায়ের ট্রায়াল করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধারের কথায়, সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বর মাসেই হয়ত ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বাজারে চলে আসতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে তাঁর সংস্থা যে ভ্যাকসিন তৈরি করবে তার ৫০ শতাংশ ভারতীয় বাজারের জন্য বরাদ্দ রেখে, তবেই বাকি ৫০ শতাংশ বাকি বিশ্বের জন্য তাঁরা দেবেন বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!