প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একদিকে যেখানে ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার ফাইজার এবং জার্মানির বায়োএনটেক সংস্থা নির্মিত ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১০ মাস লড়াই করার পর দেশবাসীর কাছে এবার একটা স্বস্তি এসেছে যে, অবশেষে ভ্যাকসিন পাবে সাধারণ মানুষ। আর ঠিক এই সময়ই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বদলীয় বৈঠককে কেন্দ্র করে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।

এখানে এমন মাহেন্দ্রক্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে, সেকথাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলত মোদি এই বৈঠকে ভ্যাকসিন নিয়েই কোনও নির্দিষ্ট সুসংবাদ দিতে চলেছেন, সেই নিয়ে প্রবল জল্পনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। যদিও এই বৈঠক সম্পর্কে অন্য কথাও শোনা গেছে।

সেখানে অনেকেই অনুমান করছেন যে, এখনও পর্যন্ত কেন সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, সেটাই সর্বদলীয় বৈঠকে মোদি ও সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি ব্যাখ্যা করবেন। তবে সেইসঙ্গে বর্তমান করোনার পরিস্থিতি কী এবং ভ্যাকসিন নির্মাণ কোন পর্যায়ে আছে, সেটা নিয়েও আলোচনা করা হবে বলেও আশা রাখছেন অনেকেই।

সেক্ষেত্রে বিশেষ করে উঠে এসেছে সিরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়। জানা গেছে, এই মাসেই ভ্যাকসিনটি জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে জানানো হয়েছে যে, মানবশরীরে ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করার পরই ভ্যাকসিন ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হবে।

আর সেটা এই মাসেই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। আর সেক্ষেত্রে অনেকেই তাই অনুমান করছেন যে সেই কারণেই সম্ভবত সর্বদলীয় বৈঠক হতে পারে। সেইসঙ্গে গত সপ্তাহেই মোদিকে দেশের ৬টি ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। যার মধ্যে থেকে তিনটি সংস্থার ভ্যাকসিন উৎপাদন ইউনিট তিনি নিজেই পরিদর্শন করেছেন।

আর তার ঠিক প্রাক্কালেই প্রধানমন্ত্রী দেশের আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠকও করেন। এখানে তাঁদের ভ্যাকসিনের জন্য পরিকাঠামো, স্টোরেজ ও সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলা হয় বলে জানা গেছে। তবে এরই মধ্যে যদিও ভারতে কবে ভ্যাকসিন আসবে, তার দাম কত হবে বা ডোজের সংখ্যা কত হবে, তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি কোনও দিশা দিতে পারেননি বলেও জানা গিয়েছিল।

তবুও তারপরই সর্বদলীয় বৈঠকটি ডাকা নিয়ে তাই ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে যে সকলের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, সেটাই অনুমান করা হচ্ছে। যদিও এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, ব্রিটেনের নিজের সংস্থা অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন যে কোনও সময়ই আসতে পারে বলে জানান হয়েছে। তাই সেখানে কেন আমেরিকার সংস্থাকেই ব্রিটেন আগে স্বীকৃতি দিল, সেই নিয়েও জল্পনা আপাতত রয়ে যাচ্ছে বলেই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।