এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পিকের চালে মাত গেরুয়া শিবির? বিজেপি নয় একেবারে সঙ্ঘের ঘরেই থাবা বসিয়ে চমকে দিল তৃণমূল!

পিকের চালে মাত গেরুয়া শিবির? বিজেপি নয় একেবারে সঙ্ঘের ঘরেই থাবা বসিয়ে চমকে দিল তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসার পর থেকেই তৃনমূলকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু করে দেন বিশিষ্ট এই নির্বাচনী রণনীতিকার। তৃণমূলকে নানা কর্মসূচি দেওয়ার পাশাপাশি কিভাবে বিরোধী দল বিজেপিতে ভাঙন ধরাতে হবে, তার ব্যাপারেও নেতাদের মন্ত্র বেঁধে দেন তিনি। তবে শুধু বিজেপি নয়, এবার ভারতীয় জনতা পার্টির প্রাণকেন্দ্র আরএসএসের শ্রমিক সংগঠনেও ভাঙন ধরাতে উদ্যোগী হল তৃণমূল কংগ্রেস।

যার পেছনে প্রশান্ত কিশোরের মুখ্য ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই আরএসএস শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সংঘের দার্জিলিং জেলা কমিটির 21 জন সদস্যের মধ্যে 14 জন জেলা সভাপতির নেতৃত্বে সংগঠন ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সমস্ত কিছু ঠিক থাকলে রবিবার দুপুরে নকশালবাড়িতে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন।

আর এই ঘটনাতেই এখন তীব্র গুঞ্জন শুরু হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। সংঘের সংগঠন ভেঙ্গে যদি তৃণমূল এই সদস্যদের নিজেদের দিকে আনতে পারে, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা নিজেদের সংগঠনের অনেকটাই উজ্জীবিত করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই গোটা ঘটনায় বিজেপি অনেকটাই চাপে পড়বে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, যে সমস্ত নেতারা সংগঠন ছেড়ে তৃণমূলে আসার কথা ভাবছেন, তারা সকলেই প্রশান্ত কিশোরের টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। অর্থাৎ তৃণমূলে আসার ক্ষেত্রে যাতে তাদের কোনো বাধা না হয়, তার জন্যই তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার সঙ্গে এই সমস্ত বিজেপি নেতাদের যোগাযোগ শুরু হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রশান্ত কিশোরের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে এখন বিরোধীদের ঘর ভাঙতে হবে। আর তার অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বিরোধীদের ঘর ভাঙ্গার এই পরিকল্পনা শুরু হয়েছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু কেন বিজেপি তাদের এই ভাঙন আটকাতে পারছে না? জানা গেছে, জেলা সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুহর সঙ্গে সভাপতি নির্মল দের তীব্র মনোমালিন্য শুরু হয়েছে। যে খবর পেয়েই প্রশান্ত কিশোরের টিম ময়দানে নেমে পড়ে। 14 জনের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর তাদের দলবদল চূড়ান্ত করে ফেলা হয়। এখন এই সমস্ত নেতারা রবিবার যদি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে গেরুয়া শিবির অনেকটাই চাপে পড়বে। তবে সত্যি সত্যিই এই দলবদল প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়, নাকি এই সমস্ত নেতারা বিজেপিতেই থেকে যান, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!