এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিকের অনুশাসন নাকি পুরোনো নেতাদের তদ্বির? তৃণমূলে ‘পদ-রহস্য’ নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু দলেই!

পিকের অনুশাসন নাকি পুরোনো নেতাদের তদ্বির? তৃণমূলে ‘পদ-রহস্য’ নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু দলেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতোদিন জেলা নেতৃত্ব ব্লক থেকে অঞ্চল সমস্ত জায়গায় কারা দায়িত্ব পাবেন, তাদের ঠিক করে দিত। কিন্তু এবার তৃণমূলে কি সেই প্রথা বন্ধ হতে চলেছে? জানা গেছে, জেলায় জেলায় বিভিন্ন ব্লক সভাপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এবার শেষ কথা বলবে তৃণমূল ভবন। অর্থাৎ কলকাতা থেকেই যে সমস্ত ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রিত হবে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই তৃণমূল এই সিদ্ধান্ত নিল কেন?

অনেকে বলছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোনো বিষয় নিয়েই যাতে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব শুরু না হয়, তার জন্যই সরাসরি রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ব্লক সভাপতি গঠন করে দিয়ে সেই দ্বন্দ্ব কমানোর উদ্যোগ নিতেই এই ব্যবস্থা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মালদা জেলায় কোন ব্লকে কাকে সভাপতি করা হবে, তা নিয়ে তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু নেতা-নেত্রী নিজেদের নামের তদ্বির করতে কলকাতায় পরে রয়েছেন।

তবে নেতাদের পা ধরে এবার যে আর পদ পাওয়া যাবে না, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্লক থেকে বেশকিছু নাম সভাপতি পদের জন্য রাজ্যের কাছে জমা পড়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত কাকে কোন ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা ঠিক করবে রাজ্য নেতৃত্ব। তাই সেদিক থেকে কোন নেতার অনুগামীরা সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাবেন, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোর কমিটির এক সদস্য বলেন, “যারা প্রকৃত দলকে ভালোবাসে, তারা দলের সিদ্ধান্তকে মাথা পেতে নেন। যেখানে স্বার্থ, সেখানেই তদবিরের প্রশ্ন।” পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সরাসরি তৃণমূল ভবন থেকে ব্লক সভাপতি ঠিক করে দিয়ে যদি জেলার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যেমন সুবিধা রয়েছে, ঠিক তেমনই অসুবিধাও রয়েছে। এক্ষেত্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়ত বা বন্ধ করে রাজ্য নেতৃত্ব সমস্ত কিছু ঠিক করেছে বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে জেলা নেতৃত্ব।

কিন্তু বাস্তবে রাজ্য থেকে ঠিক করে দেওয়া সেই ব্লক সভাপতিদের কি আদৌ সকলে মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় রয়েই যাচ্ছে। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের একটা সুর যে তৃণমূলে বাজবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক এই নিয়ম চালু হলেও তা কতটা সফলতা লাভ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!