এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পিকের পরামর্শেই কি বিজেপির সঙ্গে ছাড়লেন এই হেভিওয়েট? জোর জল্পনা শুরু!

পিকের পরামর্শেই কি বিজেপির সঙ্গে ছাড়লেন এই হেভিওয়েট? জোর জল্পনা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় নয় মাস আগে নীতীশ কুমার দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করেছিলেন। যার জেরে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসওয়ান লোক জনশক্তি পার্টি হয়ে আলাদা করে লড়াই করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এনডিএ জোট থেকে বাইরে বেরিয়ে এভাবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টির আলাদা করে লড়াইয়ের পেছনে যার ভূমিকা প্রধান বলে মনে করছেন সকলে, তিনি হলেন প্রশান্ত কিশোর।

তার মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনার ফলেই নীতীশ কুমারের সঙ্গে বিরোধিতার সুরকে চরমপর্যায়ে তুলে এই কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে দাঁড়িয়ে নীতীশ কুমার প্রশংসা করায় তার কড়া সমালোচনা করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। যার ফলে গত জানুয়ারি মাসে বসে প্রশান্ত কিশোরকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন নীতীশ কুমার। আর এবার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টির এককভাবে লড়াইয়ের পেছনে সেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত, গত 2015 সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারের জয়ের পেছনে সবথেকে বড় অবদান ছিল এই প্রশান্ত কিশোরের। পরবর্তীতে জেডিইউয়ের সহ-সভাপতি হলেও তার সঙ্গে নীতীশ কুমার এর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। আর এর পরেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর দল থেকে বহিষ্কারের পর থেকেই কিভাবে নীতীশ কুমার এবং জেডিইউকে চাপে রাখা যায়, তা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেন প্রশান্ত কিশোর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখে তিনি কিছু না বললেও, কাজে যে তিনি অনেক কিছুই করতে শুরু করেছেন, তা তার নানা আচার আচরণেই স্পষ্ট হয়ে যায়। একাংশ বলছেন, নীতীশ কুমারের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্রের সাথে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক প্রশান্ত কিশোরের। ভোট ঘোষণার পর থেকেই যেভাবে চিরাগ পাসওয়ন এনডিএ জোট এর থেকে দূরত্ব অবলম্বন করছেন এবং নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন, তাতে এই গোটা প্রক্রিয়ার পেছনে প্রশান্ত কিশোরের সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

কিন্তু লোক জনশক্তি পার্টি যদি প্রশান্ত কিশোরের কথামত একক ভাবে লড়াই করে নীতীশ কুমারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়, তাহলে প্রশান্ত কিশোর আবার তার ম্যাজিক দেখাতে শুরু করবেন। কিন্তু নানা মহলের তরফে লোক জনশক্তি পার্টির এককভাবে লড়াইয়ের পেছনে প্রশান্ত কিশোর রয়েছে বলে মনে করা হলেও, তা স্বীকার করেননি স্বয়ং প্রশান্ত কিশোর নিজে। তিনি বলেন, “প্রথমত বিহারের রাজনীতির সঙ্গে এখন আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দ্বিতীয়ত নীতীশ কুমারের বাড়িতেই শেষবার চিরাগের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। তারপরে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। বিহারের বিজেপি নেতারাই তো চিরাগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির দায়িত্বে ছিলেন। এখন নীতীশজিকে বিভ্রান্ত করতে সুকৌশলে আমার নাম ব্যবহার করছেন।”

অর্থাৎ সুকৌশলে প্রশান্ত কিশোর নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে চাইলেন যে, তিনি এই রকম কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু মুখে প্রশান্ত কিশোর যে কথাই বলুক না কেন, যেভাবে নীতীশ কুমারের উপর চাপ বাড়িয়ে লোক জনশক্তি পার্টি এককভাবে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছে, এর পেছনে তার অবদান রয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সবমিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!