এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিএসির পর নয়া বিতর্কে মুকুল, বাসস্থান হারানোর আশঙ্কা, পাশে তৃণমূল!

পিএসির পর নয়া বিতর্কে মুকুল, বাসস্থান হারানোর আশঙ্কা, পাশে তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2017 সাল থেকে 2021 সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছেন মুকুল রায়। তারপর তিনি যোগ দিয়েছেন নিজের পুরাতন দল তৃণমূল কংগ্রেসে। আর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার সাথে সাথেই সেই মুকুল রায়কে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তাকে রাজ্য বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। যা নিয়ে এমনিতেই তৃণমূল এবং মুকুল রায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এই পরিস্থিতিতে পিএসি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার মুকুল রায়ের দিল্লির বাসভবন হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যসভার সচিবালয় থেকে মুকুল রায়কে বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একসময় দিল্লিতে সাউথ অ্যাভিনিউয়ের এই বাসভবনেই থাকতেন মুকুল রায়। কিন্তু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। তবে  বিজেপির পক্ষ থেকে সৌজন্যতা দেখিয়ে তাকে সেই বাসভবনেই থাকতে বলা হয়েছিল। সেই মতো করে সেখানেই থাকছিলেন মুকুল রায়।

তবে বর্তমানে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই তাকে চাপে রাখতে এখন যাতে সেই বাসভবন থেকে তাকে সরানো যায়, তার জন্য শুরু হয়েছে চেষ্টা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই বাসভবনটি যার জন্য বরাদ্দ, অর্থাৎ যেখানে স্বপন দাশগুপ্তের থাকার কথা, সেখানে অতিথি হিসেবে থাকতেন মুকুল রায়। তাই স্বপন দাশগুপ্তকে চিঠি দেওয়ার পরই স্বপনবাবুর পক্ষ থেকে মুকুল রায়কে অবিলম্বে যাতে এই বাসভবন ছেড়ে দেওয়া হয়, তার জন্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। যদিও বা তৃণমূল এই ঘটনার পেছনে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি লক্ষ্য করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মুকুল রায়ের ওপরে চাপ সৃষ্টি হলেও পাল্টা কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মুকুল রায় যে বাসভবনে থাকছেন, সেই বাসভবনটি যাতে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনের জন্য বরাদ্দ করা হয়, তার জন্য ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করা হয়েছে। সেদিক থেকে তৃণমূলের এই আবেদন যদি মান্যতা পায়, তাহলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন মুকুল রায়। কিন্তু যদি তা না হয়, তাহলে দিল্লিতে তার বাসস্থান নিয়েও তৈরি হবে বড়সড় প্রশ্ন। সেদিক থেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছেন মুকুল রায়কে।

কেননা একসময় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে সর্বভারতীয় স্তরে বিস্তারের অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন। তাই সেই মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসার পরেই তাকে কাজে লাগিয়ে দলকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যেতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে দিল্লিতে থাকতে গেলে একটা পাকাপোক্ত বাসস্থান দরকার মুকুল রায়ের। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিজেপির পক্ষ থেকে সৌজন্যতা দেখিয়ে সাংসদ পদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও তাকে একটি বাসস্থান দেওয়া হয়েছিল।

তবে এবার সেই বাসস্থান ছেড়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মুকুল রায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার ফলে তিনি অনেকটাই চাপে পড়েছেন। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা কৌশল অবলম্বন করার কারণে এখন সেই বাসস্থান নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তাতে কতটা স্বস্তি পান মুকুল রায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!