এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই! মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন শ্রমিক বন্ধুদের

পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই! মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন শ্রমিক বন্ধুদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট করোনা, লকডাউন ,সামাজিক দূরত্ব এই শব্দবন্ধ গুলির সঙ্গে আমরা যথেষ্ট পরিচিত হয়ে পড়েছি। গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকে, সে কারণে ঘোষিত হয় লকডাউন। এখন লকডাউন অনেকটাই শিথিল হয়ে গেছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এখনো সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

এ কারণেই বহু মানুষ জমায়েত এড়িয়ে চলেন। সরকারও ব্যাপারটি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এজন্য সরকারের নানা প্রকল্প, পরিষেবা এখন অনলাইনের মাধ্যমেই করতে সরকার উৎসাহ দিয়ে থাকে। অফিসে বেশি মানুষের জমায়েতে স্বাস্থ্যের পক্ষেও একেবারেই ক্ষতিকর। কিন্তু সরকারি বেশিরভাগ কাজ ও পরিষেবা এভাবে অনলাইনে হয় কত মানুষ যে চরম বিপাকে পড়েছে, তার হয়তো হিসেব রাখা সম্ভব হয়না।

শ্রমিক বন্ধু বা এসএলও বলে এক ধরনের কর্মী সারা রাজ্যেই আছেন, যাদের কাজ হলো বিভিন্ন ক্ষেত্রের অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্ত রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া। তাদের এই কাজ এর পরিবর্তে তারা সামান্য অর্থ মজুরি হিসেবে পেয়ে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য যে সমস্ত সরকারি পরিষেবা চালু রয়েছে সেগুলির আবেদন এখন অনলাইনে করা শুরু হয়েছে, আর এরফলেই কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু শ্রমিক বন্ধু।

কাজ হারিয়ে পাঁচ মাস ধরে বেতন হীন , ফলে আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত করুণ। পরিবারের সকলের মুখে খাবার জোগান একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে বহু শ্রমিক বন্ধুর কাছে। এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন বীরভূম জেলার বেশকিছু শ্রমিক বন্ধুরা। গতকাল শুক্রবার সকালে সিউড়ি জেলা স্কুলের মাঠে বেশকিছু শ্রমিক বন্ধু একত্র। এরপর তাঁরা সম্মিলিত হয়ে স্থানীয় পোস্ট অফিসে যান। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠালেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি বীরভূম জেলায় প্রায় আড়াইশো জন এবং সমগ্র রাজ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক বন্ধু নিযুক্ত আছেন। লকডাউন এর সময় থেকে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য সরকার প্রদত্ত্ব সমস্ত সরকারি পরিষেবা ও প্রকল্প অনলাইনে চালু হয়ে যায়। যার ফলে এই শ্রমিক বন্ধুরা সম্পূর্ণভাবে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।তাদের কাজ মজুরি সমস্ত কিছু সমস্ত যে বন্ধ হয়ে গেছে। তাই তাদের চোখে সর্ষেফুল অবস্থা। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়ে তারা আবেদন জানালেন হয় তাদের মজুরি দেয়া হোক কিংবা তাদের অনুমতি দেয়া হোক স্বেচ্ছামৃত্যুর।

প্রসঙ্গত, শ্রমিক বন্ধুরা আরও জানিয়েছেন যে, অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হওয়ায় শুধু তারাই যে বিপাকে পড়েছেন তা নয়, বিপদে পড়েছেন অনেক অসংগঠিত শ্রমিকও। কেন অসংগঠিত শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অনলাইন ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন একটা পাকাপোক্ত নন। ফলত, সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছেন তারা। তাই আবেদন জানিয়েছেন যে, অনলাইনের পাশাপাশি আবার পুরোনো প্রক্রিয়াও চালু করা হোক।

সিউড়ি মোহাম্মদ বাজারের জনৈক শ্রমিক বন্ধু কৃষ্ণা চৌধুরী নিজের দুরাবস্থা অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ” ২০০৯ সাল থেকে এই কাজ করছি। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে শ্রমমন্ত্রী সকলের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করেছি। লাভ হয়নি৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি।”  গতকাল শ্রমিক বন্ধু নিতাই দাসও নিজেদের আর্থিক বিপন্নতার কথা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!