প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – জালনোটের সঙ্গে গোরু এবং কয়লা পাচারে ইতিমধ্যেই এক এনামুলকে মালদহ থেকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা সামনে এসেছিল। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর সেই তথ্যের ভিত্তিতে এরই মধ্যে কালো টাকা সাদা করার মামলায় প্রাক্তন এক আয়কর কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে লালবাজারের গোয়েন্দাদের। সেইসঙ্গে রাজ্যের আরো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির নামও উঠে আসে বলে জানা যায়।

সম্প্রতি তার ভিত্তিতে কার কার কাছে নোটিস পাঠানো হবে এবং আগামী দিনে তদন্তের অভিমুখ কী হবে, এই নিয়ে রাজ্যের সিবিআই কর্তারা শুক্রবার দিল্লির কর্তাদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে যে সমস্ত পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে প্রথমে ডাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সেখানে লালার ডায়েরি সামনে এনে কারা কারা তার ‘পে রোলে’ ছিলেন সেটা দেখানো হয়। জানা গেছে, কয়লা ও গোরু পাচার এর ঘটনায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ২০ জনের বেশি পুলিস অফিসারের নাম এদিন আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়াও বিএসএফ কাস্টমস, সিআইএসএফ সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জনা ১৫ অফিসারের নাম উঠে এসেছে। অন্যদিকে, গরু পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বিএসএফের কমান্ডান্ট সতীশ কুমার।

সিবিআই সূত্রে জানান হয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সতীশকে জেরা করে এনামুলের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন। আর তার ভিত্তিতেই সিবিআই এনামুলকে জেরা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এনামুল শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বারবারই তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এনামুল জানিয়ে দেন, তাঁর করোনা ধরা পড়েছে।

কিন্তু এনামুলের বক্তব্যে নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা। তাঁকে সরকারি কোনও হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। এরপর গত ২৪শে নভেম্বর সিবিআইয়ের তৎপরতায় এনামুলের নতুন করে করোনা পরীক্ষা করান হয়। এরপর তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

সেই সুবাদে সে এতদিন সিবিআই এর থেকে দূরে থাকতে সক্ষম হয়েছে, কিন্তু শুক্রবার ফের এনামুলের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। আর শনিবার তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেই জানা গেছে। ফলত এবার প্রয়োজনে এনামুলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে সিবিআই এর কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

সেক্ষেত্রে শনিবার শুল্ক দফতরের কয়েক জন আধিকারিককেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে বলে জানা গেছে। টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁদের নিজাম প্যালেসে ডাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এরপর এনামুলকেও গ্রেফতারিতে আর কোনো বাঁধা না থাকায় তদন্ত শীঘ্রই হবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।