এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও” দাবি তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ, শোরগোল ফেলে দিলেন দিলীপ!

“পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও” দাবি তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ, শোরগোল ফেলে দিলেন দিলীপ!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  “রাজ্যে গণতন্ত্র নেই”, এই অভিযোগ বিজেপির দীর্ঘদিনের। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে সরব হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তার পরেও বাংলার মানুষ ভরসা রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর। তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। অন্যদিকে রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাওয়া ভারতীয় জনতা পার্টি 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর বিজেপিকে আরও বেশি করে চাপে ফেলতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে রাজ্যে বিরোধী দলের জায়গা পেয়ে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার তৃণমূলের ওপর সেই চাপ আরও বৃদ্ধি করতে “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও সপ্তাহ” পালন করা হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলা বাহুল্য, এতদিন আগস্ট মাসের 16 তারিখে “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস” পালন করত ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু এবার আগস্ট মাসের 9 তারিখ থেকে শুরু করে 16 তারিখ পর্যন্ত একটি সপ্তাহ “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও সপ্তাহ” হিসেবে পালন করে রাজ্যের পরিস্থিতি যে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করবে ভারতীয় জনতা পার্টি বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিন এই কর্মসূচি সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বাংলার ক্ষমতা দখল করার পর তৃণমূল নেত্রী এখন সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বেশি পরিমাণে মনোযোগী হতে শুরু করেছেন। সোমবার তিনি দিল্লি সফর করছেন। স্বভাবতই তার এই দিল্লি সফর রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই দিল্লি সফরকে নিয়েও কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মুখে যাই বলুন না কেন, 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে তার দল লড়তে পারবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।” অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার বাইরে এখন তার দলকে শক্তিশালী করতে নানা চেষ্টা করতে শুরু করেছেন। আর সেই কারণেই বিরোধী মহাজোট তৈরি করে যাতে বিজেপিকে চাপে ফেলা যায়, তার জন্য কৌশল স্থাপন করতেই তার এই দিল্লি সফর বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বা আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াইয়ের জায়গায় থাকবে কিনা, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলকে কার্যত চাপের মুখে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে দিলীপ ঘোষ এই ব্যাপারে তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। পাল্টা এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষ এবং তার দলকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, “বিজেপি তাদের শোচনীয় পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখবে, এই ব্যর্থতার জন্য অন্যতম দায়ী দিলীপ ঘোষ। এখন নিজের সভাপতিত্ব বাঁচাতে দিলীপ মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যা নয় তাই বলে যাচ্ছেন।” বলা বাহুল্য, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিরোধী মহাজোট গঠনের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আখেরে লাভের লাভ হয়নি। বরঞ্চ তৃণমূলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যেখানে বাংলা থেকে 42 এ 42 টি আসনের মধ্যে কার্যত 22 টি আসন পেয়েই থেমে যেতে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে 18 টি আসন পেয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এই পরিস্থিতিতে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 2024 এর লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী মহাজোট গঠনের জন্য দিল্লি যাত্রা করার সাথে সাথেই তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে আগামী দিনে তার দল লড়াই করতে পারবে কিনা, সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরম আকার ধারণ করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!