প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে প্রথমে দলের প্রতি বেসুরো বার্তাদান, এরপর তৃণমূল ত্যাগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগদান করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে বারবার নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই তাঁর মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে বিজেপির প্রতি। তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা তীব্র আকার ধারণ করেছে স্বাভাবিকভাবেই। এবার তাঁর দলে ফেরা সম্পর্কে বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী ও হাওড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়।

সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গে তেমন ঘনিষ্ঠতা আর নেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের বৈঠকে যোগদানের পরিবর্তে টুইট করে দলের সাম্প্রতিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন তিনি। যার মধ্য দিয়ে তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের সুর বেজে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে নিয়ে বিশেষ বক্তব্য রেখেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন তাঁর কাছে ছোট ভাইয়ের মতো। কেন তিনি বিজেপিতে গেছেন? সেটা তাঁর কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার।

বিজেপিতে যাবার আগে শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকের দিন তিনি ফোন করেছিলেন পরিবহনমন্ত্রীকে। দেরিতে হলেও যদি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বোধোদয় হয়, তাহলে সেটা ভালো লক্ষণ। তিনি জানালেন, দল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোন আবেদন এসে পৌঁছায়নি, যাদের আবেদন এসেছে, তাঁদের বিষয়ে দল বিবেচনা করবে। তিনি জানালেন, দেরিতে হলেও বোধোদয় তো হয়েছে, অনেকে এত নির্বোধ যে বোধোদয়ই হয়না।

অতএব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলে ফেরা প্রসঙ্গে অনেকটাই সুর নরম করেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে এখনো পর্যন্ত কঠোর মনোভাব পোষণ করছেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল ক্ষমা করে দিলেও, তিনি কোনদিন তাঁকে ক্ষমা করতে পারবেন না। কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রে যে সেনা বা সেনাপতি শত্রুর সঙ্গে হাত মেলান, তাঁকে ক্ষমা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে থাকাকালীন অরূপ রায়ের সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক কখনোই মধুর ছিল না। একাধিক বিষয়ে মতভেদ ছিল উভয়ের মধ্যে। নির্বাচনের পূর্বে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক বক্তব্যদান, এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট ক্ষুব্দ রেখেছে রাজ্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে। তাই তাঁর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন কতদূর সম্ভব? সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।