এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড় তুমি কার? তীব্র লড়াই শুরু বিমল-বিনয় গোষ্ঠীর? আরও বিস্ফোরক জায়গায় পৌঁছল পাহাড় রাজনীতি?

পাহাড় তুমি কার? তীব্র লড়াই শুরু বিমল-বিনয় গোষ্ঠীর? আরও বিস্ফোরক জায়গায় পৌঁছল পাহাড় রাজনীতি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সমস্ত কিছু বেশ ভালোই চলছিল। কোনোরকমে শান্তি স্থাপন করা সম্ভব হয়েছিল পাহাড়ে। কিন্তু বিমল গুরুং সক্রিয় হতে না হতেই আবার নতুন করে সেখানে আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হতে শুরু করেছে। এবার প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে বিমল গুরুং বনাম বিনয় তামাং গোষ্ঠীর অনুগামীদের দ্বন্দ্ব। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই বিমল গুরুং পাহাড়ের সক্রিয় হতেই বিনয় তামাংয়ের অনুগামীরা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে পোস্টার টানিয়ে দিতে শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, “বিমল গুরুং মুর্দাবাদ” বলেও উঠতে শুরু করেছে স্লোগান।

অন্যদিকে বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা তাকে স্বাগত জানানোর জন্য মিছিল, মিটিংয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আর দুই গোষ্ঠীর কর্মসূচি, পাল্টা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এবার পাহাড় আবার নতুন করে উত্তপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর পাহাড় যদি উত্তপ্ত হয়, তাহলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস যে অত্যন্ত চাপে পড়বে, সেই ব্যাপারটি নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের কাছে। যার ফলে ফায়দা তুলতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে মনে করছেন একাংশ।

সূত্রের খবর, অষ্টমীর দিন থেকেই বিনয় তামাংয়ের অনুগামীরা দলীয় ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং শহরের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল মিটিং শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য, এতদিন পাহাড়ের মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন বিনয় তামাং। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সখ্যতা রেখে তিনি পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য কাজ করছিলেন। কিন্তু এখন গুরুংয়ের মতো নেতাকে মেনে নেওয়া অসম্ভব। যার ফলে তারা এই কর্মসূচি করতে শুরু করেছেন।

অন্যদিকে বিমল গুরুং সক্রিয় হওয়ায় তার অনুগামীরা কিছুটা হলেও উজ্জীবিত। তাদের বক্তব্য, বিমল গুরুংকে পাহাড়ে স্বাগত জানানো হবে। স্বাভাবিকভাবেই দুই গোষ্ঠীর এই দ্বন্দ্ব এখন রাজ্যের তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দীর্ঘদিন বিমল গুরুং অন্তরালে থাকার পর সক্রিয় হওয়ার সাথে সাথেই বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর কথা শোনা গেছে তার গলায়। স্বাভাবিকভাবেই এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন এতদিন পাহাড়ের মাটি আগলে রাখা বিনয় তামাং এবং এর অনুগামীরা। তাই এখন রাজ্য সরকার সশ্যাম এবং কুল দুই কি করে বজায় রাখে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দার্জিলিং মহকুমার সভাপতি তথা বিনয় তামাংয়ের অনুগামী অলোক কান্তামানি থোলং বলেন, “পাহাড় এখন শান্ত। বহু চেষ্টা করে পাহাড়ে শান্তি ফেরানো হয়েছে। এখন বিমল গুরুং পাহাড়ে আসতেই পারেন। কিন্তু তার দাদাগিরি, গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। এবার পাহাড়ে কোনো গোলমাল হলে তিনি দায়ী থাকবেন।” এদিকে বিমল গুরুংকে স্বাগত জানানোর জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তার অনুগামী এক যুবনেতা। স্বাভাবিকভাবেই এহেন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, বর্তমানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে।

পাহাড়ের মাটিতে শান্তি স্থাপনে তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারের উদ্যোগী হলেও, যদি বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাংয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে শুরু করে, তাহলে পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত হবে। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করবে। আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়লে অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। সব মিলিয়ে এবার রাজ্যের শাসক দল বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুংয়ের অনুগামীদের বন্ধ করতে কি ফর্মুলা গ্রহণ করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!