এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ের আর এক সাংসদ পেলেন কেন্দ্রীয় বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, বিতর্ক বাড়ছে অন্য সুরে

পাহাড়ের আর এক সাংসদ পেলেন কেন্দ্রীয় বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, বিতর্ক বাড়ছে অন্য সুরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করে তোলা নিয়ে ব্যাপক দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। কেন্দ্র থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হলেও তাঁর বঙ্গভঙ্গের দাবী থেকে কিন্তু তিনি সরেননি। পরবর্তীতে অবশ্য দেখা গেল, আলিপুরদুয়ার থেকে সাংসদ জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। আর এবার পাহাড়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হল। কার্যত এই নিয়ে বিতর্ক উঠেছে তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, কার্যত বিজেপি এভাবে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে।

রাজনৈতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বাংলায় দক্ষিণবঙ্গে বিজেপি পিছিয়ে থাকলেও লোকসভা নির্বাচন কিংবা বিধানসভা নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতারা তাঁদের সংগঠন কিন্তু অটুট রেখেছেন। ঢেলে ভোট দিয়েছে সেখানকার জনতা বিজেপিকে। আর তারই পুরস্কারস্বরূপ এবার পাহাড়ের বিজেপি নেতারা একের পর এক কেন্দ্রীয় স্তরে পদ পাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বীরভূমের বিজেপির বিধায়ক অনুপ কুমার সাহাকেও সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, জন বার্লা এবং রাজু বিস্তাকে সর্বভারতীয় পদে এনে বাংলা ভাগের ইস্যুকেই কার্যত উসকে দিচ্ছে না তো  সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্ব?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করার পর থেকেই বিরোধী শিবিরে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আর এবার রাজু রিস্তাকে সর্বভারতীয় পদে নিয়ে আসায় সেই ক্ষোভের পারদ যে আরো চড়বে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের বিরোধীরা মনে করছেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে আসছেন যারা এতদিন ধরে, তাঁদের সঙ্গে রাজু বিস্তা এবং জন বার্লার রীতিমতো সখ্যতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁদেরকে বিজেপির সর্বভারতীয় পদে নিয়ে আসা মূলত বাংলা ভাগের গুঞ্জনকে আরও উস্কে দেওয়া হল। যদিও বিরোধীদের এই দাবি মানতে রাজি নয় বিজেপি নেতৃত্ব। তারা বরং পাল্টা দাবি করেছে, পশ্চিমবাংলায় পাহাড় দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত অবস্থায় রয়েছে।

তাই সেখানকার মানুষের দাবী যথেষ্ট যুক্তিপূর্ণ এবং ন্যায়সঙ্গত। রাজ্য সরকারকে নিয়ে পাহাড়বাসীদের মনে যে ক্ষোভ রয়েছে, তা কমানোর জন্যই সেখানকার নেতাদের গুরুত্ব দিয়ে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গকে আলাদা করার পক্ষপাতি যারা তাঁদেরকে বিশেষ জায়গা দিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কার্যত তৃণমূল সরকারের ওপর চাপ বিস্তার করছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি উঠলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে সেই দাবি কোনভাবেই মানবেনা, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বরং তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির বঙ্গভঙ্গের দাবী তুলে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!