এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ের জন্য বিশেষ দাবি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিমল গুরুং

পাহাড়ের জন্য বিশেষ দাবি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিমল গুরুং


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরের পুজোর আগেই প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীঘ্রই এই প্রক্রিয়া শুরু হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে জিটিএ আওতাধীন এলাকায় শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় ধরে জিটিএর আওতাধীন এলাকায় সেভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। বহু শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই সমস্ত পদে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়োগের ফলে বহু শিক্ষিত মানুষের কর্মসংস্থান ঘটবে।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া এই চিঠিতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং জানিয়েছেন যে, গত ২০১২ সালে শেষবারের মতো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল জিটিএর আওতাধীন এলাকাতে। যার ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ২০০২ সালে হয়েছিল, ২০১৮ সালে স্থায়ীভাবে মাত্র ১২৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পাহাড়ে সম্প্রতি ৬৫৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি পাহাড়ে। পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তিনি আশা করছেন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে জিটিএর আওতাধীন এলাকা বঞ্চিত হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মেধার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রী যে শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন, এর ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবেই শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং। তাঁর এই চিঠি দেবার কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় তিন বছর অজ্ঞাতবাসে থাকার পর গত বছর পঞ্চমীর দিনে হঠাৎ তাঁকে দেখা গিয়েছিল কলকাতার রাজপথে।

যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জোট বাঁধার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পাহাড় ছাড়া থাকার কারণে, পাহাড়ে তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব আর পূর্বের মতো নেই, সেই হারানো জমি ফিরে পেতেই তিনি এই পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে, অনেকে মনে করছেন। তাঁর এই চিঠি পাবার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন? সেদিকেই দৃষ্টি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!