এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে ফের মুখমন্ত্রীর দ্বারস্থ হেভিওয়েট নেতা, পাহাড় নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে চাপ

পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে ফের মুখমন্ত্রীর দ্বারস্থ হেভিওয়েট নেতা, পাহাড় নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে চাপ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিমল গুরুংয়ের আত্মপ্রকাশের সাথে সাথেই পাহাড়ের মানুষ কিন্তু আশঙ্কা করেই ছিল অশান্তির। আর পাহাড়ের মানুষের সেই আশঙ্কাই এবার সত্যি হলো। এ বছর পুজোর সময়ে হঠাৎ করে তিন বছর ধরে ফেরার থাকা বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করেন কলকাতার বুকে। স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। অন্যদিকে বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করেই সাথে সাথে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 2021 এ রাজ্যের মসনদে দেখতে চান বলে মন্তব্য করেন। যা নিয়েও শুরু হয় তীব্র গুঞ্জন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা আশ্নগকা করেইছিলেন যে  পাহাড়ে এবার তামাংপন্থী এবং গুরুংপন্থীদের মধ্যে বিরোধিতা শুরু হবে, যথারীতি তাই হয়েছে।

সম্প্রতি পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে যান বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা। কিন্তু তাতে যে পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র বদল হয়নি এদিন সেকথা স্পষ্ট হলো। এদিন আবারও মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন পাহাড়ের জিটিএ চেয়ারম্যান ও মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনীত থাপা। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার তাকভর চা বাগান এলাকায় বিনয় তামাং এর এক অনুগামী গুরুংপন্থীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। যথারীতি বিবাদ বাড়তে থাকায় গুড়ুংপন্থী বিনয় তামাং এর অনুগামী চেতন থাপাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এলাকায় এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই জখম যুবক চেতন থাপাকে শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

খবর পেয়ে মাঝরাতে কার্শিয়াং থেকে সোজা শিলিগুড়ি পৌঁছান অনীত থাপা। এবং বুধবার সকালে পাহাড়ে ফিরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে দুজন ধরা পড়েছে যারা বিমল গুরুংয়ের অনুগামী বলে পরিচিত এলাকায়। এই দুজন তাকভরের বার্নেসবার্গ চা বাগান এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এদিন অনীত থাপা মন্তব্য করেছেন, পাহাড়ে যেকোনো সময় গন্ডগোল শুরু হতে পারে। তাহলে পাহাড়ে আর শান্তি থাকবে না। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পাতলেবাসে বিমল গুরুংয়ের দপ্তর তিন বছর বন্ধ থাকার পর তাঁর অনুগামীরা খুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বুধবার সেখানে বিমল গুরুংয়ের নামাঙ্কিত পতাকা ঝুলিয়ে স্লোগান দেয় তাঁর অনুগামীরা। তবে পুলিশি নজরদারি থাকায় যথারীতি পাহাড়ে এখনো পর্যন্ত কোনো গোলমালের খবর উঠে আসেনি। অন্যদিকে রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক আধিকারিক ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বিমল গুরুং প্রকাশ্যে আসতে তাঁর সমর্থকরাও ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমে পড়েছে। এতদিন আড়ালে থাকার পর এইবার বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টায় রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে পাহাড়ে কোনভাবেই অশান্তি যাতে না ফিরতে পারে তা প্রশাসন দেখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিনয় তামাং এবং অনীত থাপা এদিন দার্জিলিং জজবাজারে দলীয় দপ্তরে বৈঠকে বসেন।

আপাতত জানা গিয়েছে, কার্শিয়াং, মিরিক, কালিম্পং এর নিয়ন্ত্রণ তামাংদের হাতেই রয়েছে। তৃণমূলের লোকজনও তাঁদের পাশেই রয়েছেন বলে তামাংরা দাবী করেছেন। কিন্তু দার্জিলিং সদরের তাকভর, পাতলেবাস, সিংমারি-র মত বহু জায়গায় হঠাৎ করে বিমল গুরুং অনুগামীদের তৎপর হতে দেখা গিয়েছে। তাই গোলমাল যাতে সেখানে কোনভাবেই না হয় তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অনীত থাপা। অন্যদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন বিমল গুরুং এবং বিনয় তামাং শিবির যদি মুখোমুখি হয় তাহলে গন্ডগোল যে লাগবে, সে কথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায় আর তাই ঘটেছে মঙ্গলবার তাকভরে।

চেতন থাপা এখনো নার্সিংহোমে রয়েছেন সংকটজনক অবস্থায়। আপাতত পাহাড়ে শান্তি রক্ষার দায়িত্ব অন্বিত এবং বিনয়ের ওপর ন্যস্ত হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিমল গুরুং আত্মপ্রকাশ করার পরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিকে পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছে, বিমল গুরুংয়ের আত্মপ্রকাশের উদ্দেশ্যে কি তাহলে পাহাড়ে আবার নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর? যা একপ্রকার তৃণমূল প্রশাসনকে অস্বস্তির মুখে দাঁড় করাবে। অন্যদিকে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বর্তমান নেতারা। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!