এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ের রাজনীতিতে এবার সশরীরে পদার্পন করছেন বিমল গুরুং, চর্চা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে

পাহাড়ের রাজনীতিতে এবার সশরীরে পদার্পন করছেন বিমল গুরুং, চর্চা নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘ সময় ধরে ফেরার ছিলেন বিমল গুরুং ও তাঁর ডেপুটি রোশন গিরি। রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে আঁতাতের পর সম্প্রতি তাঁরা পাহাড়ে ফিরে এসেছেন। আগামী ৬ ই ডিসেম্বর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে রয়েছে বিমল গুরুংয়ের জনসভা। এই জনসভার পূর্বে মহড়া সভা হিসেবে গতকাল রবিবার কার্শিয়াংএ একটি সভা করলেন রোশন গিরি। দীর্ঘদিন ধরে ফেরার থাকার পর এখন পাহাড়ে তাঁর কতটা প্রভাব আছে? সেটা বুঝতেই জল মাপছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে অনেকটাই হতাশ হতে হলো। কারণ, গতকাল কার্শিয়াং এর সভাতে মেরে কেটে ৫০০ লোকের সমাগম হয়েছিল। এই সভা থেকেই তিনি বিজেপির নিন্দা করলেন এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হাত ধরে লড়াই করার কথা জানালেন।

সম্প্রতি পাহাড়ের রাজনীতিতে নিজেদেরকে প্রাসঙ্গিক করে তোলাই হলো বিমল গুরুং ও রোশন গিরির প্রধান লক্ষ্য। একসময় তাঁরা অত্যন্ত জনপ্রিয় থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরেই ফেরার ছিলেন তাঁরা। গত ২০১৭ সালের জুন মাসে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলা চালিয়েছিল তাঁদের অনুগামীরা। এরপর তাঁদের নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গা ঢাকা দেন তাঁরা। তার মধ্যে তাঁকে দিল্লিতে দেখা গিয়েছিল দু-একবার। দার্জিলিংয়ের সেসময়ের বিজেপি সাংসদ এসএস আলুওয়ালিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তিনি বেশ কয়েকবার দিল্লি গিয়েছিলেন। যেখানে তিনি গোর্খাল্যান্ডের দাবি করেছিলেন। এরপর পাহাড়ের সাংসদ বদল হয়েছে। তবে, এখনো তা বিজেপির হাতেই আছে।

গতকালের সভা থেকে রোশন গিরি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি মোর্চাদের কোন গুরুত্বই দেয় না। তিনি জানালেন, পাহাড়ে উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করার জন্য বিজেপিকে সুযোগ দিয়েছেন তাঁরা। তিনবার তাঁরা বিজেপি থেকে সাংসদ নির্বাচন করেছেন। কিন্তু, বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলেও, তাদের কোনো লাভ হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি মোর্চাদের মানুষ বলেই মনে করে না, তাদের কোনো গুরুত্বই দেয় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর বিমল গুরুংয়ের সুরে সুর মিলিয়ে তাঁর ডেপুটি রোশন গিরিকে বলতে শোনা গেল যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল আবার ক্ষমতায় ফিরে আসুক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মুখ্যমন্ত্রী হোন, এটাই তাঁদের আশা। একারণেই আগামী নির্বাচনে পাহাড়ে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন। গতকালের সভাতে রোশন গিরি অনীত থাপা পরিচালিত বর্তমানের জিটিএর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করলেন। জিটিএতে তিনি অডিটের দাবি জানিয়েছেন।

গতকালের সভা থেকে গোর্খাল্যান্ডের দাবির কথাও বলতে শোনা গেল রোশন গিরিকে। গতকালের সভার পর সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়ে তাঁরা কিভাবে গোর্খাল্যান্ডের দাবি করছেন? কারণ মুখ্যমন্ত্রী তো গোর্খাল্যান্ডের সম্পূর্ণ বিরোধী। এর কোন পরিষ্কার উত্তর দিতে পারেননি রোশন গিরি। তিনি শুধু জানিয়েছেন যে, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, সম্প্রতি নিজেদের এজেন্ডা নিয়ে যথেষ্টই বিভ্রান্ত আছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি প্রমুখেরা। গোর্খাল্যান্ডের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যই তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। বস্তুত, পাহাড়ের রাজনীতিতে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওয়াটাই এখন তাদের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!