পাহাড়ের রাশ নিজের হাতে নিতে চাইছেন গুরুং? অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জল্পনা! উত্তরবঙ্গ কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সখ্যতা বেশ ভালই ছিল ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু যত সময় গিয়েছে, ততই তিক্ততা বেড়েছে। মাঝে বিমল গুরুং এবং তার অনুগামীরা বিজেপির ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন। যার ফলে পাহাড়ে শুরু হয় আন্দোলন। যা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আর এরপরই বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের দূরত্ব তৈরি হয়। পরবর্তীতে বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বাধীন মোর্চাকে বেশি গুরুত্ব দিতে শুরু করে রাজ্য সরকার। তাদের হাতেই পাহাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে বেশ কিছুদিন আগে আবার বিমল গুরুং তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করতে শুরু করেন। আর এই পরিস্থিতিতে বিনয় তামাংয়ের মোর্চা যেহেতু পাহাড়ে রয়েছে, তাই তাদেরকে সরিয়ে যাতে মোর্চার দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়ে পাহাড়ের নেতৃত্ব তিনি দিতে পারেন, তার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিমল গুরুং। তবে সেই চেষ্টাতে সফলতা আনতে গেলে রাজ্যের শাসকদলের যে সহযোগিতা প্রয়োজন, তা বুঝতে পেরেছেন তিনি। আর সেই কারণেই এবার নিজের অন্যতম বিশ্বস্ত দূত রোশন গিরিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন বিমল গুরুং বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কলকাতার শান্তিনিকেতনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আসেন রোশন গিরি। তাদের দুজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা হয় বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের দূতের অন্যতম এই বৈঠককে কেন্দ্র করে এখন রাজনৈতিক মহলে ক্রমশ জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। একাংশ বলছেন, তৃণমূলের সঙ্গে যে তিক্ত সম্পর্ক এবং দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা মিটিয়ে নিতেই বিমল গুরুং এই কৌশল প্রয়োগ করেছেন। আর সেই কারণেই রোশন গিরিকে পাঠিয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তা তৈরি করতে চাইছেন তিনি। অর্থাৎ পাহাড়ের দায়িত্ব এখন যাতে পুরোপুরি তার হাতে আসে, তার জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিমল গুরুংয়ের বিশ্বস্ত ব্যক্তির এই বৈঠক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, বিমল গুরুং বুঝতে পেরেছেন, শাসকদলের সঙ্গে না থাকলে পাহাড়ে একতরফাভাবে চলা মুশকিল। তাই বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করার পর থেকেই তৃণমূলের প্রতি নরম হওয়ার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। আর এবার সরাসরি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজের বিশ্বস্ত দূতকে পাঠিয়ে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিমল গুরুং। তবে এখন তৃণমূল এই ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেয়, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। কারণ বিমল গুরুং যখন ছিলেন না, তখন বিনয় তামাং পাহাড় সামলেছিলেন। সেদিক থেকে সেই সময় রাজ্য সরকার বা শাসক দলের অন্যতম ভরসার কেন্দ্রস্থল ছিলেন বিনয় তামাং। এখন তাকে সরিয়ে যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর বিমল গুরুংয়ের হাতে সমস্ত দায়িত্ব রাজ্যের শাসক দল বা রাজ্য সরকার দিয়ে দেয়, তাহলে বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা বেঁকে বসতে পারে। যার ফলে পাহাড়ে আবার ভয়াবহ আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শাসক দল শ্যাম এবং কুল রাখতে কি পদ্ধতি অবলম্বন করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -