এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে চীন বিরোধী সুর! কার্যত বিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি!

পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে চীন বিরোধী সুর! কার্যত বিদ্রোহে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আন্তর্জাতিক মহলে সকলের সামনে ভারতকে ছোট করতে কোন সুযোগই ছাড়ে না পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য জম্বু কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকার সমস্ত ক্ষেত্রেই মানবাধিকার লংঘন করছে, তাদের অসুবিধা সৃষ্টি করছে এবং যেনতেন প্রকারে ভারত পাকিস্তানের ক্ষতি হোক সেটাই চায়। কিন্তু এত কুৎসা রটানোর পরেও নয়াদিল্লিকে নিয়ে পাকিস্তানের সেই কথার খুব একটা সুফল মেলেনি বলেই এতদিন প্রমাণ হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও যে চীন বিরোধী সুর চড়ছে সেকথাও সম্প্রতি জানা গেছে।

ব্যাপারটা হচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই চিনের মদতে নীলম-ঝিলাম নদীর উপর বাঁধ পাকিস্তানি সরকার তৈরির চেষ্টা করছে বলে জানা যায়। কিন্তু, এর ফলে ওই এলাকার ভৌগালিক অবস্থানের পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিও পুরো ভেঙে পড়বে বলে অভিযোগ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ এই বিষয়ে তারা বারবার প্রতিবাদও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু, পাকিস্তান সরকার তাতে গুরুত্ব দেননি। উপরন্তু এই পরিকাঠামোর তৈরিতে যারা বিরোধিতা করেছিলেন তাদের গুম খুন করা হচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে মাঝে মাঝেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষকে ইসলামাবাদের এই অমানুষিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রাতেও সেই একই ছবি ধরা দেখা গেছে। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফ্ফরাবাদ শহরের রাস্তায় নেমে প্রচুর মানুষ বিক্ষোভ দেখান। রাতের অন্ধকারকে দূরে সরিয়ে জ্বলন্ত মশাল ও টর্চ হাতেই তারা পাকিস্তানের সরকারের কাজের বিরোধী স্লোগান তুলেছিলেন। হাজারের বেশি মানুষের কন্ঠে শোনা গিয়েছিল ‘নদী বাঁচাও, মুজাফ্ফরাবাদ বাঁচাও’, ‘নীলম-ঝিলাম বইতে দাও, আমাদের বাঁচাতে দাও’-এর মতো স্লোগান। তবে এই ঘটনার পর অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে, এমন অমানবিক কাজের যারা কর্তা হতে পারেন, তাদের কাছে এই মানবিক আবেদন আদৌ কি কোন ফারাক তৈরি করবে?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও গিলগিট-বালুচিস্তান এলাকায় শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্বিচারে খুন করে গুম করেছে পাকিস্তান সরকার। একটি আন্তর্জাতিক রিপোর্টের খবর অনুযায়ী, পাক অধিকৃত ওই এলাকাগুলিতে অর্থনৈতিক করিডর বানানোর নামে এভাবেই যথেচ্ছ অত্যাচার চালাচ্ছিল পাকিস্তানি সরকার। সেখানকার মানুষদের পাকিস্তানের সংবিধানে উল্লেখিত কোনও অধিকারই দেওয়া হচ্ছিল না। উপরন্তু সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাতেও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছিল। তবে এর পিছনে আইএসআইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে কোনও প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেই রাতারাতি গুম করে দেওয়া হচ্ছিল তাদের। অনুমান করা হয়েছিল, ভারতের সম্পর্কে সহানুভূতির মনোভাব রাখা ওখানকার মানুষদের মন থেকে ভারতের সম্পর্ক ছিন্ন করতেই তাদের সমূলে ধ্বংস করার এই নীতি নিয়েছে তারা। পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় সংস্কৃতির কোনও ছাপ যাতে না থাকে তার জন্য এই এলাকায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর এমন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জোর করে তাদের সমস্ত কাজে উর্দুর ব্যবহার চালু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি এহেন অভিযোগে কি শেষ পর্যন্ত টনক নড়বে পাকিস্তান সরকারের। নাকি এই অত্যাচারের লীলা চলতে থাকবে, তা কেউ জানেনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!