গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে ভারতের গোলাপের বুকে রক্তের দাগ লাগিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় পাক জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় প্রাণ গিয়েছে ভারতের প্রায় ৪৯ জন সেনার। আর এত বড় জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হোক এই দাবিতে ফুসতে শুরু করেছে গোটা দেশ। দেশের শহীদ বীর জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনায় দেশের নানা প্রান্তে মোমবাতি জ্বালিয়ে বা শোকমিছিল করে দেশের সকল মানুষ কেন্দ্রের সরকারের কাছে একটাই আবেদন করছেন যে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নিতেই হবে।

অনেকের আবার দাবি, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর ভারত যেভাবে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল এবার সেই রকমই কিছু করা হোক। এদিকে দেশবাসীর আবেগকে মান্যতা দিয়ে ভারত যে চুপ করে বসে থাকবে না তা জানিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। আর তাই ভারতের পক্ষ থেকে এবার ফের আরও একবার সার্জিকাল স্ট্রাইক হতে পারে এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি সীমান্ত বরাবর সমস্ত জঙ্গী ঘাঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল পাক সেনা। এদিকে পাকিস্তানের জঙ্গী ঘাঁটিগুলো যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ওপারে এখনও পর্যন্ত কোনোরূপ জঙ্গির আনাগোনা না দেখা যাওয়াতে।

একাংশের মতে, গত ২০১৬ সালে উরি হামলার পর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে পাক ভূখণ্ডে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর এবার সেই আশঙ্কাতেই পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সেই জঙ্গী ঘাঁটিগুলো সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হল। ইতিমধ্যেই, পাকিস্তানের জাতীয় টেলিভিশনের বিতর্কে অংশগ্রহণ করে, পাক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে কাশ্মীরের এই ঘটনা এত সহজে ছেড়ে দেবে না ভারত – প্রত্যাঘাত শুরু করতে পারে যে কোন মুহূর্তেই।

তবে, এই ঘটনায় পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া না হলেও, তড়িঘড়িতে কোনো ভুল পদক্ষেপের পক্ষে নন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী – বিশেষ করে যেখানে সেনা-জওয়ানদের জীবনের প্রশ্ন জড়িয়ে আছে। আর তাই, পাকিস্তানকে সামরিক ভাবে কিভাবে জবাব দেওয়া হবে – তার পরিকল্পনা রচনার সব দায়ভার তিনি ইতিমধ্যেই ‘ক্রাইসিস ম্যান’ অজিত দোভালকে ছেড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করার রাস্তায় হাঁটছেন তিনি নিজে ও তাঁর মন্ত্রীসভার হেভিওয়েট সদস্যরা। সব মিলিয়ে, ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে রীতিমত শঙ্কিত সীমান্তের ওপার।