এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পাকিস্তান সফর বাতিল চীনা প্রেসিডেন্টের! ভারতকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে নিজেদের মধ্যেই তুমুল ঝগড়া?

পাকিস্তান সফর বাতিল চীনা প্রেসিডেন্টের! ভারতকে বিপাকে ফেলতে গিয়ে নিজেদের মধ্যেই তুমুল ঝগড়া?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারতকে শায়েস্তা করতে পাকিস্তান যে চীনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, সেই অনুমান অনেক আগেই করেছিলেন রাজনীতিবিদরা। সেইসঙ্গে অন্যের ক্ষতি করতে গেলে নিজেকেও যে সেই ক্ষতির ভাগীদার হিসেবে মাশুল দিতে হয়, সেই কথাও অনুমান করা গিয়েছিল। তবে তার ফল যে এত তাড়াতাড়ি পাকিস্তানকে ভোগ করতে হবে সেই কথা হয়তো কেউ কল্পনা করতে পারেনি। আর তারই ফলস্বরূপ চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে। কারণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ব্যবহার, তাদের কার্যকলাপ যে সবক্ষেত্রেই সমালোচিত হয়ে উঠেছে, সেই কথা বোঝাতেই হয়তো চীনের তরফ থেকে এমন কাজ করা হয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।

বলে রাখা দরকার, চিন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর নিয়ে এতদিন বেশ খুশিতে ছিল পাকিস্তানি সরকার। কিন্তু ধারণা অনুযায়ী, উপমহাদেশীয় এলাকায় কর্তৃত্ব ফলানোই কিন্তু মূল লক্ষ্য বেজিংয়ের। ফলে সেই লক্ষপূরণ করতে পাকিস্তান, নেপাল, ভূটানকে হাতের মুঠোয় রাখতে চাইছেন জিনপিং। আর তা সফল হলে ভারতকেও বিপাকে ফেলা সহজ হবে বলেই অনুমান। তবে দুর্বল অর্থনীতির যেসমস্ত দেশ চিনের এই মতলবে সাথ দিয়েছে, ইতিহাস বলছে তাদের প্রত্যেকেরই অর্থনীতি চিরকালের মতো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। উপরন্তু চিনের সামনে হাত পেতে থাকা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি ছিল না। তাই খুব শীঘ্রই পাকিস্তানেরও তেমন পরিস্থিতি হতে চলেছে বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। তবে আপাতত কেমন পরিস্থিতি ছিল পাকিস্তানে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে, নিজেদের প্রকৃতির ক্ষতি করে চিনকে বেশ কিছু রাস্তা বানাতে দিয়েছিল পাক প্রশাসন। CPEC প্রকল্পে পাকিস্তানের বাণিজ্যিক বা আর্থিক কোনও লাভ না থাকলেও উপরন্তু ওই রাস্তা দিয়ে সস্তার চিনা পণ্যে চেয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের বাজার। সেই সঙ্গে স্থানীয় কারবারিরা মন্দা দেখছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই প্রকল্পের অন্তর্গত নির্মাণকাজে নিজের দেশ থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাচ্ছিল চিন। ফলে পাকিস্তানিদের কাজের সুযোগ ছিল না। বিশেষ করে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এ নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ দেখা দেয়। কিন্তু পাক শাসকরা চিনা পুঁজির লোভে এই প্রকল্পে সায় দিলেও পরে CPEC প্রকল্পের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম বাজওয়ার বিরুদ্ধে লাগাতার দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে কয়েকদিন আগেই ইমরান খানের উপদেষ্টার পদ থেকে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার কথা শোনা যায়।

তবে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে নাকি অন্য কোন কারণে চিনা প্রশাসন পাকিস্তানের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাইছে না সে কথা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তান সফরে আসার কথা ছিল চীনা প্রেসিডেন্টের। তবে করোনা আবহে গত জুন মাসে সফর পিছনোর পর চলতি সপ্তাহেই পাকিস্তানে আসার কথা ছিল জিনপিংয়ের। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসলামাবাদে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিং জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর কথা মাথায় রেখে আপাতত পাকিস্তান সফর বাতিল করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে। সেইসঙ্গে যৌথভাবেই ভাইরাসটির সঙ্গে দুই দেশ লড়াই চালাবে, সেকথা জানা যায়। যদিও তাঁর এই কথা বর্তমান পরিস্থিতি সামাল দিতে কূটনৈতিক বুলি বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!