এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > পাকিস্তানের আশায় জল ঢালল চীন!খুশির হাওয়া ভারতে

পাকিস্তানের আশায় জল ঢালল চীন!খুশির হাওয়া ভারতে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে কাশ্মীর থেকে 370 ধারা অবলুপ্তির ফলে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে প্রবল আপত্তি প্রকাশ পায় পাকিস্তানের। এই ঘটনাকে ইস‍্যু করে চীনের হাত ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘে গিয়ে গর্জন করার দাবি জানিয়েছিল পাকিস্তান। একদা বন্ধু চীন তাঁদের সাহায্য করবে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে, এমনি আশা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তানের সেই আশায় জল ঢেলেছে চীন নিজেই। এখনো পর্যন্ত কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের বিরুদ্ধে চীন সেভাবে কোন বক্তব্য রাখেনি। এবার ভারতে এসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কাশ্মীর প্রসঙ্গে একটি কথাও উত্থাপন করলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে পাকিস্তানের আশা ছিল চীন হয়তো কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিরোধিতা জানাবে। কিন্তু পাকিস্তানের সমস্ত আশায় জল ঢেলে চীনা প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর প্রসঙ্গে কোন কথাই বললেন না। ফলে যে উদ্যোগে চীনের ইউহান প্রদেশ থেকে শুরু হয়েছিল, তা শেষ পর্যন্ত পরিণতি পেল মমল্লপুরমের সমুদ্র সৈকতের তীরে।

এবার চীন ও ভারতের আন্তর্জাতিক বৈঠকে দুই প্রতিবেশী দেশ একযোগে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়বে বলে ঠিক করেছে। এছাড়াও দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ফলে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকার করেছে দুই দেশ। শুক্র-শনি 2 দফায় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট জিনপিং দুজনেই খুশি।

এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ‘ইউহানের শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও চীনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ককে জোরদার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। আর চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে (চেন্নাই কানেক্ট) দু’দেশই পারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর দু’দেশের প্রতিনিধিদল যখন বৈঠক করেন তাদেরকেও এই কথা প্রধানমন্ত্রী জানান। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে এ কথা প্রকাশ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য, এদিন দুই রাষ্ট্রনায়কের বৈঠকে কাশ্মীর, আকসাই চীন, অরুণাচল সীমান্ত, ডোকলাম, দক্ষিণ চীন সাগর, জিনজিয়াং, উইঘুর, তাইওয়ান, হংকং সহ বেশ কিছু বিতর্কিত বিষয় ওঠার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সবাইকে অবাক করে কাশ্মীর বা অরুণাচলের মতন বিতর্কিত বিষয়টিকে এড়িয়ে গেলেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। সূত্রের খবর, চীন ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক দেখে চীনের সংবাদমাধ্যমও যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত। তাই বিশ্লেষকদের অনুমান, কয়েক দশকের বিরোধিতার বরফ গলিয়ে এবার ভারতের সাথে বন্ধুত্বের সূত্রপাত করতে চলেছে বেজিং।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ভারতের বিরুদ্ধে চীন বরাবরই শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশী দেশ হিসেবেই পরিচিত। প্রতিনিয়ত চীন চেষ্টা করে যাচ্ছে ভারতের কিছু অংশকে নিজের দেশের সাথে যুক্ত করার। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে আসার পরেই চিন বা পাকিস্তান দুজনেরই হয়েছে মুশকিল। কূটনৈতিক চালে ভারত বারেবারে পরাজিত করছে পাকিস্তান এবং চীনকে। তবে ভারত ও চীনের এই সৌহার্দ্যমূলক বৈঠকের পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী দাঁড়ায়, সেদিকে নজর রাখবে তামাম রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!