চলছে ইমরান সরকারের চরম অত্যাচার! প্রানভয়ের আতঙ্কে অসহনীয় অবস্থা পাকিস্তানের হিন্দুদের! আন্তর্জাতিক October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সবার উপর মানুষ শ্রেষ্ঠ, তাহার উপর নয়। এই কথাটা হয়ত জোর গলায় বলার সময় আমরা আসতে আসতে ছেড়ে আসছি। কারণ চারিদিকে যেভাবে ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি থেকে কুৎসা রটানোর চেষ্টা চলছে, তা ঘৃণ্য, নিন্দনীয়। মানুষের মান আর হুঁশ আছে, তাই সে মানুষ। কিন্তু সেই মান আর হুঁশ যেন আজ মানুষের প্রকৃতির বিরূপে প্রতিক্রিয়া করছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীর সীমান্তে ভারতের মানুষের ওপর ইমরানের সরকার যে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে তার খবর সামনে এসেছে। সেই নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও বেশ কথা শুনতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু নিজেদের স্বভাব থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে না যেন তারা। তাই আবারও পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের খবর পাওয়া গেছে। তবে এটা প্রথম নয়, এর আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভাওয়ালপুরের এক ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দুষ্কৃতীদের হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল। জানা গেছে, করাচির লিয়ারি জেলায় স্বাধীনতার আগে থেকে থাকা একটি হনুমান মন্দিরকে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতে দেখা গেছে পাকিস্তানের এক প্রোমোটারকে। শুধু তাই নয়, ওই মন্দিরের আশপাশে থাকা ২০টি হিন্দু পরিবারের বাড়িও নাকি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই জানা গেছে। আর এর মধ্যে দিয়ে পাকিস্তানের ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবই আরও একবার প্রকাশ পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এই ঘটনার পর আবারও পাকিস্তানে হিন্দু মন্দিরে একদল দুষ্কৃতীকে হামলা চালাতে দেখা গেছে বলে জানা গেছে। শনিবার সিন্ধু বাদিন প্রদেশের একটি মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়েছে। বস্তুত, বাদিন সিন্ধু প্রদেশের কারিও ঘানোয়ারের রামমন্দিরেই এই ভাঙচুর চালানো হয়। এরপরই বিশ্বজুড়ে পাকিস্তান সরকারের ভূমিকার তীব্র নিন্দা শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনার পর সিন্ধু প্রদেশে ৪২৮টি মন্দিরের মধ্যে মাত্র ২০টি আর অবশিষ্ট রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করতে দেখা গেছে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারকর্মী অনিলা গুলজারকে। সেই সঙ্গে এই ঘটনাই পাকিস্তানে থাকা হিন্দুদের আসল পরিস্থিতির স্বরূপ প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনকে। এই প্রসঙ্গে, ফেসবুকে পোস্ট করে অনিলা গুলজার জানান যে, বাদিন সিন্দু প্রদেশে রামমন্দির ভাঙার মতো নৃশসং কাজকে তিনি তীব্র নিন্দা করছেন। এরপর আর মাত্র ২০টি মন্দির অবশিষ্ট রইল। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, শুধু মাত্র সিন্ধু প্রদেশে মন্দির ভাঙাই নয়, একাধিকবার হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের খবরও সামনে এসেছে। সেখানে কখনও জোর করে ধর্মান্তরিত করা থেকে শুরু করে, হিন্দু-খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, আবার পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। গত মে মাসেও এক মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা সমানেো এসেছিল। যদিও এ নিয়ে আপাতত পাকিস্তান প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি বলেই খবর পাওয়া গেছে। আপনার মতামত জানান -