এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কথা মুখে বললেও “দুমুখো” নীতি নিয়ে মাসুদ আজহারের নিরাপত্তা বাড়াল পাকিস্তান

সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কথা মুখে বললেও “দুমুখো” নীতি নিয়ে মাসুদ আজহারের নিরাপত্তা বাড়াল পাকিস্তান


“গাছেরও খাব, আবার তলারও কুড়োবো” – পাকিস্তানের এই দুমুখো নীতি নিয়ে এখন হতবাক অনেকেই। গত 14 ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নৃশংস জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ভারতের প্রায় 42 জন জওয়ান। যে ঘটনায় মুল অভিযোগ ওঠে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের দিকে।

তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অবশ্য এই সমস্ত কিছুকে অস্বীকার করে বলেন, “যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে ভারত এই ব্যাপারে প্রমাণ দিক।” কিন্তু মুখে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই ব্যাপারে ভারতের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও তার কথার সঙ্গে কতটা বাস্তবে সত্যতা রয়েছে তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

কেননা পাক প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও এই পুলওয়ামার নৃশংস জঙ্গি হামলার পর থেকেই সেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের নিরাপত্তা বাড়াল পাকিস্তান। আর পাকিস্তানের এহেন পদক্ষেপেই এবার তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 5 ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পেশোয়ারের একটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানার পাশে দেখা গিয়েছিল পাক পুলিশ ও সেনা কর্মীদের। আর সেখানেই একদিকে যেমন পাক সেনার প্রশংসা করেন সেই মৌলানা মাসুদ, আবার অন্যদিকে ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে।

তিনি বলেন, “এককালে উর্দি পরিহিত ভাইয়েরা আমাদের পতাকা খুলে নিত, কিন্তু আজ তারা আমাদের পতাকার নিচে কদম মিলি হাঁটছে। কাশ্মীর থেকে যে কোনো মূল্যে সেনা সরাতে বাধ্য হবে ভারত। যতদিন না এটা হচ্ছে ততদিন আফজাল গুরুর মতো আরও জেহাদী সেই উপত্যকায় প্রবেশ করবে।”

আর জইশ-ই-মহম্মদের প্রধানের মুখ থেকে এই কথার কয়েক দিনের মধ্যেই গত 14 ই ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরে এহেন হামলার পেছনে পাকিস্তানেরই হাত রয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সেই সমস্ত কিছু অস্বীকার করেছেন। কিন্তু মুখে সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা হবে না বললেও কাজে ঠিক উল্টো পথেই হাঁটছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

আর তিনি যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন জয়েশ-ই-মহম্মদকেই সমর্থন করছেন তা সেই জঙ্গী সংগঠনের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ফের আরও একবার প্রমাণ হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!