পাকিস্তানী সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘লজ্জাজনক’ ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আন্তর্জাতিক কলকাতা জাতীয় রাজ্য March 4, 2019 লোকসভা ভোট ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে। দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে যেমন চর্চার অন্ত নেই এই মুহূর্তে, সেরকমই বিরোধী জোট যদি এবারে ভোটে জেতে তাহলে তাঁদের তরফ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবে কে? এই প্রশ্ন নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এসবের মাঝেই পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসে নজর কাড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী জোটের মধ্যমণি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলওয়ামা হামলার প্রত্যাঘাত নিতে ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে এয়ার স্ট্রাইক করল তাতে ঠিক কতোজন নিহত হয়েছেন? প্রকাশ্যে এই হিসাব চেয়ে আগেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারত সরকারের ৩০০ জন জঙ্গি মারার দাবীকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাল পাক সংবাদমাধ্যম। আর গোটা বিষয়টিকে ‘লজ্জাজনক’ ব্যাখ্যা করে ট্যুইটারে নেত্রীকে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল ট্যুইট করে লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালাকোটে ভারতীয় বায়ু সেনার এয়ারস্ট্রাইকের ধ্বংস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওরা সেই মন্তব্যকে তুলে ধরে বলছে দেশের এক মুখ্যমন্ত্রীই জানাচ্ছে এইরকম কিছু হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য আমাদের জাতির প্রতি অসম্মানের।’ ১৪ ফেব্রুয়ারীর পুলওয়ামা হামলার দু সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিতে নিয়ন্ত্রনরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের সন্দেহভাজন জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে আছে ভারতীয় বায়ুসেনারা। ভারত সরকারের তরফ থেকে দাবী করা হয়,এর জেরে পাকিস্তানের ৩০০-র বেশি জঙ্গি নিহত হয়েছেন। গোটা দেশ যখন মোদীর জয়ধ্বনি করছে,ভারতীয় বায়ুসেনার বাহবা দিচ্ছে তখন বিতর্কিত একটি প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিকমহলে শোরগোল ফেলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি দাবী করেন,লোকসভা ভোটের মুখে বায়ুসেনার অভিযানকে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। এয়ারস্ট্রাইকে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস এবং জঙ্গিদের নিহত হওয়ার যে দাবী করছে কেন্দ্র তা কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না,এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বাংলার নেত্রী। দেশবাসীদের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবীকে ঘিরে বিতর্ক দানা পাকায়। এক পক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করলেও বেশিরভাগ মানুষই তাঁর বিপক্ষে কথা বলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশদ্রোহীর খেতাব দিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। আর এই ইস্যুকে ঢাল বানিয়েই ভারত সরকার বিরোধীতায় সরব হয় পাক সংবাদমাধ্যম। বিষয়টি নজরে আসতে এর বিরুদ্ধে সুর চড়া বিজেপি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সঙ্গে সঙ্গেই গোটা বিষয়কে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য যে দেশের স্বার্থরক্ষার কতোটা বিরোধী সেটা বোঝাতেই গোটা বিষয়টা আমজনতার নজরে আনেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উল্লেখ্য,শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন একই সুর শোনা যান কংগ্রেস সহ অন্যান্যদের গলায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিরোধী জোটের বৈঠকে অনেকেই এই প্রসঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন। তবে পাক মিডিয়ায় চর্চার উঠে আসেন কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আর সেজন্যে শুধুমাত্র মমতার বিরুদ্ধে আওয়াজ চড়া করেন বাবুল। উল্লেখ্য,পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই বিজেপি সরকারকে তোপ দাগতে থাকেন মমতা। মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে শহীদদের রক্ত নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি,এমনটাই অভিযোগ তোলেন। এমনকি গোটা দেশ যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বদলা নিতে সরব তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দাবী করেছিলেন,উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ ছাড়া পাকিস্তানকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। পুলওয়ামা ঘটনার প্রেক্ষিতে লাগাতার নেত্রীর ভারত সরকার বিরোধী মন্তব্যকেই কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে পাকিস্তান,এমনটাই দাবী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আপনার মতামত জানান -