এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > পাঁচ শিক্ষিকার বিষপানের পরেই আরও কড়া রাজ্য, ফের বদলির ঘনঘটা!

পাঁচ শিক্ষিকার বিষপানের পরেই আরও কড়া রাজ্য, ফের বদলির ঘনঘটা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি বদলির প্রতিবাদে পাঁচ এসএসকে, এমএসকে শিক্ষিকারা বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তারা প্রতিবাদ স্বরূপ প্রকাশ্যে বিষপান করেন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর তারকে আন্দোলনকারীদের বিজেপির ক্যাডার বলে অভিহিত করা হয়েছে। পাল্টা বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারের আচরণ নিয়ে তোলা হয়েছে প্রশ্ন। সামান্য বদলি করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই যদি কেউ বিজেপি হয়ে যায়, তাহলে রাজ্যের গণতন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়ে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ।

অনেকে বলেছিলেন, মন্ত্রী যে কথাই বলুক না কেন, এরপরে বদলির ব্যাপারে হয়ত বা সুর নরম করবে রাজ্য সরকার। বাড়ির কাছাকাছি এসএসকে এমএসকে শিক্ষিকাদের চাকরির বন্দোবস্ত করা হবে। কিন্তু সেই বদলি নিয়ে বরঞ্চ আরও দ্বিগুন কঠোর হতে দেখা গেল প্রশাসনকে। যেখানে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে 9 জন শিক্ষিকাকে ফের বদলি করার কথা জানিয়ে দেওয়া হল। স্বভাবতই যে বদলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচ শিক্ষিকার বিষপান এবং প্রতিবাদ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করার কারণে সেই প্রতিবাদ কি আরও বৃদ্ধি পাবে না, এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, বহরমপুর মিউনিসিপ্যালিটির অধীনে পাঁচজন এসএসকে শিক্ষিকাকে অনেক দূরে বদলি করা হয়েছে। যেখানে তারা বদলি হয়েছেন দিনহাটা, ঝাড়গ্রাম, এগড়া, মাল এবং গঙ্গারামপুরে। অন্যদিকে মেদিনীপুর মিউনিসি প্যালিটির অধীনে থাকা চার এসএসকে শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে বালুরঘাট, ধুপগুড়ি, বেলডাঙ্গা এবং মুর্শিদাবাদ এলাকায়। অর্থাৎ নিজেদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে তাদেরকে বদলি করে দেওয়া হল। একাংশ বলছেন, এটা সরকারের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সম্প্রতি এই বদলির প্রতিবাদে বিকাশ ভবনের সামনে পাঁচ শিক্ষিকা বিষ পান করেছিলেন। যার ফলে চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর তখন থেকেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছিলেন একাংশ। প্রতিবাদীদের বক্তব্যকে কেন মান্যতা দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় বিরোধীদের। তবে গোটা ঘটনা নিয়ে এসএসকে শিক্ষিকারা যাতে আরো কোনো প্রতিবাদ করতে না পারেন, তার জন্যই এবার আরও নয় শিক্ষিকাকে অনেক দূরে বদলি করে দিয়ে সরকার নিজের কঠোর অবস্থান বহাল রাখল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের এই ধরনের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দল বিজেপি। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাস বলেন, “রাজ্য সরকার ও জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষিত নীতি হল বাড়ির কাছাকাছি বদলি। অথচ আগের শিক্ষিকার মত আরও নয় জন এসএসকে শিক্ষিকাকে একই পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যা রাজ্য সরকারের চরম ঔদ্ধত্যের প্রকাশ।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, সদ্য এই ব্যাপারে চরম প্রতিবাদ এবং তার জেরে সরকারের চাপে পড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কিন্তু সেই পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার আগেই যেভাবে আরও নয় এসএসকে শিক্ষিকাকে দূরে বদলি করে দেওয়া হল, তাতে সরকারের উদ্দেশ্য নিয়েই এখন নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!