এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পাঁচ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পৌঁছে দিতে চাওয়া হেভিওয়েট বিজেপি নেতার শূন্যের হিসেব করতেই হিমশিম! জেনে নিন বিস্তারিত

পাঁচ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পৌঁছে দিতে চাওয়া হেভিওয়েট বিজেপি নেতার শূন্যের হিসেব করতেই হিমশিম! জেনে নিন বিস্তারিত

2019 সালের লোকসভা ভোটে জেতার পর থেকে দিল্লির মসনদে বসে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী একটার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতকে বিশ্বের দরবারে উচ্চ স্থানে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কাশ্মীর ইস‍্যু হোক বা বালাকোটের জঙ্গি নিকেশ বা চন্দ্রযান অভিযান সবেতেই প্রধানমন্ত্রীর জয়জয়কার। কিন্তু এত কিছুর মাঝে বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি অবিশ্বাস্য রকমের পতনের মুখে, যা সামলাতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নিত্যদিন কোন কোন উপায় বাতলে চলেছেন।

কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, দেশকে তিনি 5 ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পৌঁছে দেবেন। এ কথায় সেই সময় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিও প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপর থেকেই বিজেপির ছোট-বড় সমস্ত নেতাদের মুখে ঘুরছে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলার। তবে,তাদের অনেকেরই এই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান নেই। আর তা ধরা পরল বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্রের কথায়।

গত 10 সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অর্থনীতি বিষয়ক একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির মুখপাত্র সম্বিৎ পাত্র। কথায় কথায় 5 ট্রিলিয়ন ডলারের প্রসঙ্গ উথ্থাপন করলে সেই বিতর্কিত আলোচনায় উপস্থিত কংগ্রেস নেতা গৌরব বল্লভ হঠাৎ সম্বিত পাত্রকে প্রশ্ন করে বসেন, ‘বলুনতো 5 ট্রিলিয়নের পেছনে কটা শূন্য বসে?’ প্রশ্ন শুনে আচমকাই হতভম্ব হয়ে পড়েন সম্বিৎ পাত্র। নানান আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই ইস্যুটি বদলে দেবার চেষ্টা করেন, কিন্তু সমর্থ হন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিবর্তে দর্শকাসন থেকে হাততালি পড়ায় তিনি আরও অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। অবশেষে অবস্থা সামলান গৌরব বল্লভ নিজেই। তিনি উত্তর দেন ‘পাঁচ এর পেছনে বারটি শূণ্য বসলে 5 ট্রিলিয়ন ডলার হয়।’ এই ঘটনায় বিজেপি মুখপাত্র কে নিয়ে হাসাহাসিও চলে, যা যথেষ্ট লজ্জার বলেই মনে করা হচ্ছে।

গোটা দেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে চরম হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় পৌঁছে গেছে। জিডিপির হার ক্রমাগত নিচের দিকে। বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম অগ্নি মূল্য। প্রতিটি কোম্পানি থেকে শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানিগুলি চরম হতাশায় ভুগতে শুরু করেছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী নানান ভাবে দেশের অর্থনীতিকে সামাল দেবার চেষ্টা করলেও কোন মতেই তা ঠিক হচ্ছে না। বরং দিনকে দিন অবস্থা আরো খারাপের দিকে চলেছে।

এ বিষয়ে দেশের অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, দেশকে 5 ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে হলে দেশের এই মুহূর্তে 12 শতাংশের বেশি জিডিপির প্রয়োজন। যা অলীক কল্পনা বলেই মনে করছেন দেশের তাবড় অর্থনীতিবিদরা।

এ বিষয়ে দেশের বিরোধীদের বক্তব্য, বিজেপি সরকার অর্থনীতির এই বেহাল দশা থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই একের পর এক বিষয় নিয়ে জনগণের সামনে হাজির করেছেন। সে বালাকোট ই হোক বা কাশ্মীর ইস্যু বা চন্দ্রযান অভিযান। দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হলে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীকে কিছু নির্দিষ্ট পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে চলতে হবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!