পঞ্চায়েত পথ দেখিয়েছে,অমিত শাহের সফরের আগেই উওরবঙ্গে গোপনে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি রাজ্য May 23, 2018 ২০১৯ এর লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই পাহাড়ে মাটি শক্ত করার প্রয়াস বিজেপি শিবিরে। আর সেই পাহাড়ে বিজেপি সংগঠনকে মজবুত করার উদ্দেশ্য নিয়েই আগামী মাসেই এ রাজ্যে আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর আগেই কুমারগ্রাম, কালচিনি, ধূপগুড়ি, বানারহাট সহ গোটা চা এলাকাতেই পদ্মফুল ফোটানোর কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া পার্টি। বিজেপির সক্রিয়তা কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে জলপাইগুড়ির তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এদিন বললেন, ” বিজেপি ধর্মীয় জিগির তুলে সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে। চা-বলয়ে এলে ওদের ফের ধাক্কা খেতে হবে।” আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে পাহাড় রাজনীতি সূত্রের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির প্রভাবাধীন কালচিনি ও কুমারগ্রাম দুটোতেই কব্জা করেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে এবার পঞ্চায়েত ভোটে হওয়া বয়েছে আবার পদ্মশিবিরের দিকে। কুমারগ্রামের পঞ্চায়েত সমিতি এবং একটা জেলা পরিষদও এসেছে বিজেপির দখলে। এছাড়া নাগরাকাটার চা বলয়ের গ্রাম পঞ্চায়েতেও চলছে বিজেপির একছত্র আধিপত্য। তবে কালচিনি বাগে আনতে পারলেও মোট আসনের ভিত্তিতে তৃণমূলকে একরকম ধরাসায়ী করে ফেলেছে পদ্মশিবির। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব অনুমান করেছেন, এই মুহূর্তে যদি পাহাড় রাজনীতির সংগঠনগুলোতে বিজেপি যদি মলম লাগায় তবে সারতে পারে ক্ষত এবং বাকি আসন গুলোতেও ফুটতে পারে পদ্মফুল। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে এবার চা বলয় থেকেই একজনকে বিজেপি পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হবে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে আরো জানা যায় যে, কদিন আগে কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল একটি নির্দেশ। তার ‘সূচনা’ য় উল্লেখ ছিল যে পাহাড় অধ্যুষিত আদিবাসীমহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ রাখতে হবে। জনজাতিদের ভিতর ধর্মগুরুদের প্রভাব বেশি। তাই গোপনে তাঁদের মনোভাব জানতে হবে। এক জেলা নেতৃত্বের সূত্রে জানা গেছে এমনই এক মন্তব্য। বলছেন,” যেখানে বিজেপি জিতেছে,সেখানেই তান্ডব তৃণমূলের। তাই এই গোপনীয়তা।” গতবার লোকসভা ভোটের আগে পদ্মশিবির শ্লোগান তুলেছিল ‘চায়ে পে চর্চা’। ১৯ এর লোকসভা ভোটে কি তবে ডুয়ার্সের ‘চায়ে পে কব্জা’ চাইছে কেন্দ্রীয় বিজেপি দল? এই প্রশ্ন নিয়ে আপাতত সরগরম গোটা রাজনৈতিকমহল। আপনার মতামত জানান -