ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতা গেরুয়া শিবিরের নীচুতলায় ভাঙন ধরাচ্ছে রাজ্য August 23, 2018 রাজ্যে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিরোধী বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সেই পঞ্চায়েতে জয়ী জায়গাগুলোতে বোর্ড গঠনে কোনোরুপ হেলদোলই নেই। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা জল্পনাও তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। সূত্রের খবর, দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকে 11 টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ডাঙা,পতিরাম, বোল্লা, গোপালবাটি অঞ্চলে বিজেপি নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখেছে। অন্যদিকে ভাটপাড়া পঞ্চায়েতটি নিজেদের দখলে রেখেছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস। তবে এই জেলার বেশকটি পঞ্চায়েত এখনও ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। বালুরঘাট ব্লকের নাজিরপুর, চিঙ্গিশপুর, অমৃতখন্ড, বোয়ালদার, চকভৃগু, জলঘর, হিলির পাঁচটির মধ্যে বিনশিরা, ধলপাড়া ও পাঞ্জুল, কুমারগঞ্জের তিনটি, তপনে দুটি, গঙ্গারামপুরের হরিরামপুর এবং কুশমন্ডিতে একটি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। আর সেই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলি নিজেদের দখলে নিতে যখন মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস ঠিক তখনই বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত গঠনে এই অনুৎসাহ দেখে তাঁদেরই দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভও তৈরি হয়েছে। জেলার বিরোধী দলের শীর্ষনেতারা এই বিষয়ে কর্মীদের কোনোরুপ সংকেত না দেওয়ায় বিভ্রান্তিতে রয়েছে নীচুতলার কর্মীরাও। কিন্তু কেন এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে নজর নেই এই বিরোধী দলগুলোর? আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এ প্রসঙ্গে জেলার আরএসপি সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “এই ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে কর্মীরা আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে। দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” অন্যদিকে জেলা সভাপতি না থাকার কারনে এই বিষয় নিয়ে রাজ্য এবং জেলা কমিটিতে আলোচনা চলছে বলে জানান জেলা বিজেপির সম্পাদক মানস সরকার। তবে এই ব্যাপারে জেলা তৃনমূলের সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “বোর্ড গঠনের দ্বায়িত্ব ব্লকের নেতা কর্মীদের ওপর অর্পিত আছে। তাঁরা যা মনে করবেন সেইভাবেই বোর্ড গঠন হবে।” সূত্রের খবর, আগামী 27 আগষ্ট গঙ্গারামপুর এবং 28 আগষ্ট বালুরঘাটে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। সব মিলিয়ে এখন জেলার ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলির ভবিষ্যৎ কি হয় সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -