স্ত্রী পঞ্চায়েতের প্রার্থী হওয়ায় স্বামীর রোজগার বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজ্য June 6, 2018 পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব শুরুর দিন থেকেই শাসকদলের দাপটে কোনঠাসা অবস্থা অন্যান্য বিরোধীদের সঙ্গে সিপিএম এরও। একসময় যাদের একছত্র আধিপত্যে দিন চলতো বঙ্গে, তাঁদেরই টিকিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে। হ্যাঁ,কথা হচ্ছে বামফ্রন্টেরই! আর তাঁর মূল্য চোকাতে হচ্ছে বামফ্রন্ট সমর্থন করা মানুষগুলোর। অভিযোগ এসেছে শ্রীরামপুর-উওরপাড়া ব্লকের রঘুনাথপুর ব্লক থেকে। স্ত্রী পঞ্চায়েতে সিপিএম কর্মী হওয়ায় অটো চালাতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁর স্বামীকে। অভিযোগের অঙুলি নির্দেশ তৃণমূলের দিকে। অভিযোগে প্রমোদ বাবু জানান যে তিনি নাকি অটো চালক সংগঠনের বিরোধীতা করেছেন। তাই নাকি তাকে সংগঠন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে অসুস্থ্য। এদিকে কেউ তাকে আর অটো চালাতে দিচ্ছেন না। এমতাবস্থায় তিনি কী করবেন বুঝতে পারছেন না কারণ অটো চালিয়েই সংসার চলে তাঁর। প্রমোদ বাবু উওরপাড়া স্টেশন-ডানকুনি চৌমাথা রুটের অটোচালক। তাঁর স্ত্রী মৌসুমী নাখোদা এবার রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকার ২ নম্বর সংসদে বামেদের তরফ থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি অভি্যোগে জানালেন যে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা সিপিএমকে লড়াই থেকে সরাতেই এই পথ বেছেছেন। মনোনয়ন পর্ব থেকেই নাকি তাঁর কাছে হুমকি আসছিলো সিপিএম এর হয়ে না দাঁড়াতে। ওরা তৃণমূলে মৌসুমীদেবীকে টানতে চেয়েছিলো। তিনি সে দাবী নাকচ করে দেওয়ায় এখন এরকমভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গতবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল বামেদের কাছ থেকে একেরপর এক আসন কেড়ে নিলেও সিপিএমের ঝান্ডা উঁচিয়ে রেখেছিলো রঘুনাথপুর পঞ্চায়েত। তাই এবার এই আসনটি বাগে আনতে এই পন্থা অবলম্বন করেছে তৃণমূল। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে উক্ত ঘটনা প্রতিবাদে সিপিএমের তরফ থেকে পোস্টার লাগানো হয় এলাকায় এলাকায়। জেলা সিপিএম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ জানা গেলো এই ঘটনা অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনে। তৃণমূল কায়দা করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এসব হীন পথ বেছে নিচ্ছে। তবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তৃণমূল সমর্থক ‘মাখলা-ডানকুনি অটোরিকসা অপারেটার্স ইউনিয়ন’ এর সভাপতি তথা উত্তরপাড়া পুরডভার কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ ঘোষের সঙ্গে। কিন্তু ওই সংগঠনেরই অন্যান্য নেতারা বলেছেন প্রমোদবাবু নাকি যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশী নেওয়ার পাশাপাশি দুর্ব্যবহারও করতেন। তাই তাকে সংগঠন থেকে তাঁড়ানো হয়েছে। আবার উওরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জেলা কার্যকারী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল বলেন যে ওই সংগঠনের সদস্যদের থেকে জানা গেছে যে ওই অটোওয়ালা সংগঠনের ভেতরই গোলমাল জুড়েছিলেন তাই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে। এরসঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই পঞ্চায়েত ভোটের। তবে অটোওয়ালা প্রমোদবাবু এর পরিপ্রেক্ষিতে জানান যে ১৯৯২ সাল থেকে তিনি অটো চালাচ্ছেন। এতোদিন তো কোনো অভিযোগ ওঠেনি। আর তাছাড়া তিনি কারোর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও তিনি করেননা। তবে কি এর পেছেন শাসকদলের কারসাজি রয়েছে? প্রশ্ন থেকেই যায়। দুদিকেরই উলটপুরাণ অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো সিন্ধান্তে আসারই এ মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। এ ঘটনার জেরে কিছুটা হলেও থমথমে হয়ে আছে শ্রীরামপুর-উওরপাড়া ব্লক চত্বর। আপনার মতামত জানান -