এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েতের আগে মাছচাষকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে সমীকরণ বদলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

পঞ্চায়েতের আগে মাছচাষকে শিল্পের মর্যাদা দিয়ে সমীকরণ বদলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী


আসন্ন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের মৎস্য চাষীদের মৎস্য চাষীদের জন্যে গবেষণাগার এবং প্রশিক্ষণের কেন্দ্র তৈরী করে নজির গড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। বাঙালীর রোজের খাদ্য তালিকার একটি প্রধান পদ মাছ একথা প্রায় কারোরই অজানা নয়। তাই মৎস্য চাষ তাকে কী করে শিল্পের পর্যায় ভুক্ত করা যায় তা প্রমাণ করে দিয়েছে এই রাজ্যের শাসক সরকার। মৎস চাষের জন্য কোন জলাশয় কতটা উপযোগী, কিংবা সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের তলার মাটিতে কোন কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মজুত রয়েছে, সেই সব রাজ্য সরকারের তৈরী গবেষণাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারিত হচ্ছে। কোনো একজন মৎস্যচাষীই জানেন এই জিনিস গুলি মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কতটা প্রয়োজনীয়। রাজ্যের মৎস্য দফতর সূত্রে পাওয়া খবর অনুয়ারী ৩০৮টি গবেষণাগার সহ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই তৈরী হয়ে গিয়েছে। আরও ২৫টি একই ধরনের গবেষণাগার তৈরীর ছাড়পত্র ও মিলেছে। তবে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া কার্যকর হতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সমাপ্ত হওয়া অবধি অপেক্ষা করতে হবে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মৎস্য বিপণনের জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এরমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। মাছ বিক্রির জন্য ভ্রাম্যমান বাজার ইতিমধ্যেই গ্রাম-শহরের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রান্তিক বিভিন্ন শহরের সাধারণ মানুষও রাজ্য সরকারের বিপণি থেকে মাছ কিনছেন। খুচরো এবং পাইকারি বাজারে পর্যাপ্ত মাছের যোগান দিচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। রাজ্যের মৎস্য দফতর এরমধ্যেই মাছ সংরক্ষণের জন্য হিমঘর তৈরী করেছে। মৎস্য চাষীদের মধ্যে বাই-সাইকেল বিতরণ করাও হয়েছে। ওই বাই-সাইকেলের পিছনে বিশেষ ভাবে তৈরি বাক্স রয়েছে। ওই বাক্সে সংরক্ষিত মাছ রেখে তা বাজারে নিয়ে যাওয়া সুবিধাজনক। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মৎস্য দফতরের এক অধিকর্তা জানালেন, ” মৎস্য কেন্দ্রিক ব্যবসাগুলি বাড়িয়ে তুলতে যাবতীয় কাজকর্ম শুরু হয়েছে। রাজ্যে সাফল্যের সঙ্গে চালু হয়েছে মৎস্য পর্যটন বা ফিশ ট্যুরিজম। এর দায়িত্বে রয়েছে পর্যটন দফতর। মৎস্য দফতরের ট্যুরিস্ট লজগুলি এবং শহরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ভালোই ব্যবসা জমিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ফিসারমেনস কো-অপরেটিভ ফেডারেশন লিমিটেড (বেনফিস), স্টেট ফিসারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসারিজ কর্পোরেশন লিমিটেড।” মৎস্য দফতরের আওতায় সাতটি মৎস্য বন্দর এবং ১৩টি মৎস্য কেন্দ্র রয়েছে। কাকদ্বীপ বন্দরের প্রধান প্রবেশদ্বার তৈরীর কাজ শেষ। নদিয়ার কল্যাণী, বীরভূমের বোলপুর, হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে উন্নত প্রয়ুক্তির মাছের বাজার তৈরীর কাজও শেষ। এমনকী এখন মৎস্য দফতরের উদ্যোগে স্মার্টফিশ অ্যাপ ব্যবহার করে বাড়িতে বসেই পেয়ে যেতে পারেন মাছ। মৎস্য দফতরের কর্মীরা আপনার বাড়িতে মাছ পৌঁছে দেবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!