এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পঞ্চায়েত নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 21 জুলাই এর মঞ্চে বিরোধীদের আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

পঞ্চায়েত নিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে 21 জুলাই এর মঞ্চে বিরোধীদের আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর

২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের মঞ্চে আক্রমনাত্মক ভূমিকায় দেখা গেলো তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। এদিন সভা মঞ্চ থেকে তিনি কেন্দ্রের গেরুয়া শিবিরকে কার্যত হুঁশিয়ারী দিয়েই বললেন ত্রিপুরার মডেল পশ্চিমবঙ্গে কাজ করবে না। এছাড়াও রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব এলাকায় বিজেপি দল সাফল্য পেয়েছে সেগুলি তারা অর্থের বিনিময়ে পেয়েছেন বলেও দাবি করলেন। প্রসঙ্গতঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ বিজেপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

একইসাথে বিরোধীরা বলেছিলো শাসক দলের দৌড়াত্ম্যের জেরে তারা অনেক আসনে প্রার্থীই মনোনয়ন করতে পারেনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে গেরুয়া শিবির সহ সকল বিরোধী দলের উদ্দেশ্যে সওয়াল করে বললেন, উত্তরাখণ্ড বা অন্যান্য অনেক রাজ্যে যখন ৭০ শতাংশের বেশি আসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় না, তখন কেন কোনো রাজনৈতিক দল সরব হয় না ? এসব কিছু বাদেও এদিন দলনেত্রী রাজ্যের সাথে অন্যান্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে এবং বিরোধীদের আনা অভিযোগকে নসাৎ করে বললেন, ” আমরা জেলা পরিষদে ৯৮ শতাংশ, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৯০ শতাংশ ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৭৪ শতাংশ আসনে জয়ী হয়েছি। ঝাড়গ্রামের অনেক জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারেনি। আমি তো অভিযোগ জানায়নি।

মহেশতলার ভোটে মনে হল যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। পুলিশ দিয়ে বাঙ্কার তৈরী করল। বিজেপি এলাকায় এলাকায় টাকা, বাইক, ফোন দিচ্ছে। মিথ্যে কথা বলছে। দোকান দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আলিপুরদুয়ারে একটা গ্রামসভা দখল করেছে। পরে শুনলাম প্রতিটা পরিবারের এক একজনকে এক হাজার টাকা করে দিয়েছে। আরে টাকা দিয়ে একশো ভোট কেনা যায়, দশ কোটি ভোট কেনা যায় না।

কখনও কখনও ত্রিপুরার ফর্মুলা দেখাচ্ছে। ত্রিপুরায় তো সিপিএম পচে গিয়েছিল। ওখানে তো আমরাই তৈরি করেছিলাম। কংগ্রেসের লোকরা সব বিজেপি-তে চলে গেল, আর কোটি কোটি টাকা দিয়ে ওঁরা দখল করল।” হাত শিবিরকেও কটাক্ষ করতে পিছপা হলেন না এদিন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তিনি বললেন, ” আমার একটা দুঃখ আছে। যাঁরা দিল্লিতে বলে বিজেপি-র সঙ্গে লড়বে, তাঁরা বাংলায় জগাই-মাধাই হয়ে রয়েছে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!