এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘থানা-ঘেরাও’ কর্মসূচি দিয়ে বিজেপির রাজ্যব্যাপী আন্দোলন

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘থানা-ঘেরাও’ কর্মসূচি দিয়ে বিজেপির রাজ্যব্যাপী আন্দোলন


‘গণতন্ত্র বাঁচাও,বাংলা বাঁচাও’ এই শ্লোগান শোনা গেলো এদিন  উওর দিনাজ পুরের প্রতিটি থানা এলাকায়। থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে হাজারে হাজারে মানুষকে পা মেলাতে দেখা গেলো কালিয়াগঞ্জে। আন্দোলনের ঢেউ গিয়ে পৌছেছিলো দক্ষিণ দিনাজপুরেও। বালুরঘাট,হরিরামপুর থানা বাদে  জেলার প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় চলছিল শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ নিয়ে চলছিল বিজেপির ধিক্কার মিছিল এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচি। এই প্রতিবাদ শুধু উওরবঙ্গেই সীমিত থাকেনি। পশ্চিম প্রান্তেও শাসকবিরোধী গেরুয়া পার্টির একই মেজাজ দেখা গেল। পূর্ব মেদিনীপুরে মহিষাদল,সুতাহাটা,তমলুক,পটাশপুর সহ পার্শবর্তী এলাকাতেও বিজেপি তরফের হাজার হাজার মানুষ এই ‘থানা ঘেরাও’ কর্মসূচিতে সরব হন। বাঁকুড়ার সিমলাপাল,পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া,হুগলির পোলবা থানাএলাকা দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা অব্দি আটক করে রাখা হয়। সেইসময় ওসি উপস্থিত না থাকায় বিক্ষোভ চরমে ওঠে উন্মত্ত আন্দোলনকারীদের। তারপর ১৫ মিনিট পর তিনি এলে একটি স্মারকলিপি ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর হাতে,যাতে উল্লিখিত ছিল সাত দফা দাবী। এমনটাই জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক সূত্রের খবর থেকে।

একই ছবি দেখা গেছে হাওড়া থানা এলাকায়। এছাড়াও জেলার ব্যাঁটরা,গোলাবাড়ি,মালিপাঁচঘড়া,লিলুয়া,দাশনগর,জগাছা সর্বত্র বিজেপি প্রতিবাদের স্বর ধ্বনিত হয়। সকাল ১১ টা নাগাধ এরা ঘিরে ফেলে হাওড়া থানা এলাকা।  রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল বের হয় গেরুয়া পার্টির। মিছিল একদম গিয়ে শেষ হয় থানার সামনে। মিছিলে হাজির ছিলেন মহিলা নেত্রী অনিতা সিং,দুর্গাবতী সিং সহ যুবনেতা আনন্দ রাই। মিছিল আটকাতে পুলিশের প্রয়াসও কম ছিল না।  ব্যারিকেড় নিয় পুলিশ নেমেছিল পথে। কিন্তু প্রতিবাদকারীদের সামনে পুলিশ প্রশাসন টিকতে পারেনি। ওদিকে ব্যাঁটরা থানা ঘেরাও কর্মসূচি চলেছিলো হাওড়া বিজেপি নেতা শিবশঙ্কর সাধুখাঁর নেতৃত্বে। এখানেও পুলিশ সক্রিয় হয়ে মিছিল ঠেকাতে আসলে দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে যায় থানা এলাকা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই প্রতিবাদ  আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর এলাকাতেও এদিন বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কিন্তু কেন এতো প্রতিবাদ মিছিল আর ‘থানা ঘেরাও’ কর্মসূচিতে উত্তপ্ত হল রাজ্য?

এর উওর পাওয়া যাবে এদিন সোনারপুর থানা এলাকায় বিক্ষোভে যোগদান করা বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এর বক্তব্য শুনলে। এ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং পরে তৃণমূল পার্টি বিজেপির লোকজনের উপর অবাধে সন্ত্রাস চালিয়েছে। আর এই সন্ত্রাসের আগুনে হাওয়া দিয়ে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। এ রাজ্য গণতন্ত্রের মারণজজ্ঞ চলছে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি। বক্তব্য পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে আসলে মিছিল আন্দোলন ছিল রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা দেখেই বিজেপি এদিন পথে নেমেছিলো এবং থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলো। তবে এই ধরণের কর্মসূচিতে যাতে কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়, সে জন্য কড়া নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছিলো রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!